প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভাল ফল করা কঠিন, এবারেও তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে থামতে পারে, এমনই অনুমান ছিল রাজ্যের বিরোধীদের। এই ফল একেবারেই স্বাভাবিক নয় বলে সরব বিরোধী শিবির৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৮৮টি আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ফলাফলে ১৩৪টির মতো আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি৷ তাদের সহযোগী দল একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এগিয়ে আছে ৫৪টি আসনে, আর অজিত পাওয়ারের বিক্ষুব্ধ এনসিপি ৪০টি আসনে৷ অন্যদিকে, বিরোধী শিবির এগিয়ে আছে ৫২টি আসনে৷ ভোটের এই ফলাফল ‘অবাস্তব’ বলে দাবি করেছে বিরোধী শিবির৷ এই প্রসঙ্গেই শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী)-র বর্ষীয়ান সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি, কুছ তো গড়বড় হ্যায়৷ বিজেপি বিরোধীদের আসন চুরি করেছে৷ এটা জনতার রায় হতে পারে না৷ শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের জনতাও এই রায় মেনে নেবে না৷ রাজ্যের ২৮৮টি আসনের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা মাত্র ২০টি আসনে এগিয়ে আছে, এই তথ্য আদৌ বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।
আরও পড়ুন-বুমরার বোলিংয়েই উদ্দীপ্ত ড্রেসিংরুম, দাবি হর্ষিতের
এর মূলে আছে বিজেপির ষড়যন্ত্র, তোপ দেগেছেন বর্ষীয়ান সাংসদ সঞ্জয় রাউত৷ একই সুরে নির্বাচনী ফলাফলকে দুষেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে৷ তাঁর দাবি, এটা সুনামির মতো একটা শক৷ বিশ্বাস হচ্ছে না আমাদের রাজ্যের মানুষ এমন রায় দিতে পারেন৷ তাত্পর্যপূর্ণ হল, শনিবার ভোটের ফল বেরোনোর পরেই শাসক জোট মহাযুতির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী নিয়ে প্রবল গোলযোগ দেখা দিয়েছে৷ মহাযুতির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে যাতে নিজেদের মধ্যে দ্বৈরথে না মাতেন, তা নিশ্চিত করতে শনিবার দুপুরেই মহাযুতির তিন শীর্ষনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ারকে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের তরফে ফোন করা হয়৷ এর পরেও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং একনাথ শিন্ডে আলাদা করে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি তুলেছেন বলেই সূত্রের খবর৷ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে যেহেতু তারা রাজ্যের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল, সেহেতু তাদের দলের প্রতিনিধি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসুন বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ৷ কিন্তু এই সম্ভাবনা মানতে নারাজ একনাথ শিন্ডে৷ বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে তৈরি ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্পের কারণেই এই জয়, দাবি জানিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার দাবি তুলেছেন একনাথ শিন্ডে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের একাধিক দাবিদার নিয়ে মহাযুতিতে বড় অশান্তি দেখা দিলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না, দাবি বিরোধী শিবিরের৷