প্রতিবেদন: ভূস্বর্গে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ বিধানসভা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও এক ব্যাপক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সাক্ষী হল বিধানসভার অধিবেশন। তবে এদিন আর তর্কাতর্কি বা স্লোগান-পাল্টা স্লোগানেই সীমাবদ্ধ থাকল না ব্যাপারটা, রীতিমতো হাতাহাতি বেঁধে গেল শাসক এবং বিরোধীপক্ষের বিধায়কদের মধ্যে। রেহাই পেলেন না নির্দলরাও। হাত থেকে পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হল অধিবেশন কক্ষের ভেতরেই। বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ বেশ কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে আজব কাণ্ড, চেয়ারে রামের ছবি বসিয়ে চলছে পঞ্চায়েত দফতর
দু’পক্ষের হাতাহাতির মূলে ধারা ৩৭০। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পরে সোমবারই বসেছিল প্রথম অধিবেশন। বুধবারই জম্মু-কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হয় বিধানসভায়। শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্স এই প্রস্তাব পেশ করার সঙ্গেই রে রে করে তেড়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। তীব্র বিরোধিতা করেন প্রস্তাবের। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয় প্রস্তাবটি। বৃহস্পতিবার উত্তেজনার সূত্রপাত একটি পোস্টারকে কেন্দ্র করে। অধিবেশনের শুরুতেই বারামুলার সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ অনুচ্ছেদ ৩৭০-এর সমর্থনে একটি পোস্টার মেলে ধরেন। তাঁকে সমর্থন জানান নির্দল বিধায়ক শেখ খুরশিদ। পোস্টারটি দেখেই মেজাজ হারান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি বিধায়ক সুনীল শর্মা। এর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। রশিদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস বিধায়করা। শুরু হয় পাল্টা স্লোগান। এতেই ঘি পড়ে আগুনে। বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রানধাওয়া খুরশিদের হাত থেকে ওই পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই শাসক এবং বিরোধীপক্ষের বিধায়কদের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়৷ বাকি বিজেপি বিধায়করাও এরপর খুরশিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ তাঁর কাছ থেকে ওই পোস্টার ছিনিয়েও নেওয়া হয়। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলেন গেরুয়া বিধায়করা। ছুটে আসেন মার্শালরা। অবস্থা সামাল দিতে ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করে দেন।