প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি। আর এই দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে রাজ্য সরকারের যাবতীয় আপত্তি অগ্রাহ্য করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের মতে,পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগে। আরও কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যে বিজেপি কথায় কথায় বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলোর কাজকর্ম নিয়ে মিথ্যাচার করে,রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে বিভ্রান্ত করে সাধারণ মানুষকে,গেল গেল রব তোলে,সেই বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই দেখা যাচ্ছে বিধানসভা এবং বিধানপরিষদে ১৮৬ টি পদে নিয়োগ হওয়াদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজনই শাসক বিজেপি নেতাদের পরিবারের সদস্য কিংবা নিকটাত্মীয়। দু’একটি পদে অবশ্য কংগ্রেস নেতাদের সুপারিশেও চাকরি পেয়েছেন তাঁদের আত্মীয়রা। অর্থাৎ ২০ শতাংশ চাকরি তাঁদের দখলে। এটা কোনও মনগড়া তথ্য নয়, এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যোগী সরকারের তদন্ত রিপোর্টেই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপে যোগী সরকার। আসলে এই নিয়োগ-দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীই। তারই ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল রাজ্যকেই। সেই তদন্ত-রিপোর্টেই বেরিয়ে আসে নিয়োগে এই ভয়াবহ অনিয়মের কথা। এরপরেই আরও গভীরে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-পুলিশ, দমকল, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ ছুটি বাড়াচ্ছে প্রশাসন
যা জানা গিয়েছে তাতে বিষয়টা এরকম, ৩ বছর আগে যোগীরাজ্যে বিধানসভা এবং বিধানপরিষদে ১৮৬ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ। ফলপ্রকাশের পরে নিয়োগও হয়ে যায় তড়িঘড়ি করে। কিন্তু কয়েকজন পরীক্ষার্থী মামলা ঠুকে দেন হাইকোর্টে। তাঁদের অভিযোগ, অনেক অযোগ্যকে নিয়োগ করা হয়েছে ওই পদে। কোনও না
কোনও নেতা বা আমলার পরিবারের সদস্য কিংবা নিকটাত্মীয় হওয়ার সুযোগ নিয়েই এই নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ বলে অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের।