লক্ষ্মীর ভান্ডারকে কালিমালিপ্ত করতে গিয়ে বাংলার মহিলাদের অপমান করছে বিজেপি (BJP)। সোমবার দুপুরে বারাসত সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে মুখ খুললেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং শশী পাঁজা এদিন বিজেপিকে নিশানা করে বলেন বাংলার বিজেপি নেতারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে ওরা যেভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে মহিলাদের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন তার ধিক্কার জানাতেই এই সাংবাদিক বৈঠক করা হচ্ছে। ওরা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বাংলাজুড়ে আন্দোলন তীব্র হবে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক পদে রদবদল
এদিন বৈঠক থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন-স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিবেলা থাকলে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ মনে পড়ে! একজন শিক্ষামন্ত্রী হয়ে একথা বলেন কী করে? আর বিরোধী দলনেতা বলছেন- বাংলার মা, মেয়েদের শাঁখা, সিঁদুর ৫০০ টাকায় বিক্রি হবে না, আমরা জিতলে ৩ হাজার টাকা দেব। বাংলার মেয়েদের প্রতি বিজেপি নেতাদের এই অপমান তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস মেনে নেবে না। ওরা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ওদের ধিক্কার জানিয়ে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি পালন করা হবে। শুভেন্দু-সুকান্তদের মুখের ভাষা থেকেই স্পষ্ট ওরা বাংলার মা, বোনেদের কী চোখে দেখে। আগামী বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।”
আরও পড়ুন-কোভিড নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
রবিবার সন্দেশখালির সভা থেকে শুভেন্দুর মন্তব্যর প্রসঙ্গ তুলে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “এই সেই সন্দেশখালি যেখানে গত বছর লোকসভা ভোটের আগে মহিলাদের অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে মিথ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। পরে স্ট্রিং অপারেশনে বিজেপির সেই মুখোশ খুলে যায়।”
এরপরেই শশী পাঁজা বলেন, “মহিলাদের স্বনির্ভর করতে ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই প্রকল্প এখনও চলছে। এতে প্রতি মাসে বাংলার ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা উপকৃত হচ্ছেন। অথচ বিজেপি সেই মহিলাদের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?”