প্রতিবেদন : বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটল প্রথম দফার ভোট (Lok Sabha Vote 1st Phase)। উত্তরের তিন জেলায় উৎসবের মেজাজেই ভোট দিলেন মানুষ। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোচবিহারে ৭৭.৭৩% ভোট পড়েছে। আলিপুরদুয়ারে পড়েছে ৭৯.৩৩% এবং জলপাইগুড়িতে পড়েছে ৭৫.৫৪%। মোট গড় ভোটের হার ৭৭.৫৭%। ফলে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে এই তিনটি লোকসভায় মানুষ কতটা উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন। বিশেষ করে বুথে বুথে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে হার অবধারিত বুঝেই বিজেপি গন্ডগোলের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। এদিন কোচবিহারে বিজেপি বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস ও ভাঙচুর, মারধর চালায়। এতে জখম হয়েছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। কেন্দ্রীয় বদান্যতায় ও তাদের ঘেরাটোপে এই তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। এদিন সাতসকালেই ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মনকে নৃশংসভাবে কোপানো থেকে শুরু করে সিতাইয়ে তৃণমূলের ক্যাম্পে বিজেপি গুন্ডাবাহিনীর হামলা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটের আবহে নির্বাচন কমিশন ও অকর্মণ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাশে নিয়ে এভাবেই সন্ত্রাস ছড়াল বিজেপি-দুষ্কৃতীরা। হার নিশ্চিত বুঝেই সাধারণ ভোটারদের বাধা দিয়ে দেদার ছাপ্পা দিল বিজেপি। তিন কেন্দ্রে বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর এই অবাধ সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে শতাধিক অভিযোগ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বিক্ষিপ্তভাবে জলপাইগুড়ি জেলায় কিছু কিছু বুথে অশান্তি ও ইভিএম মেশিন খারাপ হলেও মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটদান সম্পন্ন হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, গ্রামাঞ্চলগুলিতে লক্ষ্য করা গেছে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে গ্রামবাসীরা ভয় পাচ্ছেন। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ১৩টি মডেল বুথ তৈরি হয়। ঐতিহ্য বজায় রেখেই উৎসবের ভোট হল আলিপুরদুয়ারে। এদিন সকালের দিকে আবহাওয়া খুব মনোরম থাকায় ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়ে। সাতসকালেই কুমারগ্রামের চা-বাগানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানকার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে পুজো দিয়ে নিউল্যান্ডস চা-বাগান প্রাইমারি বিদ্যালয়ের ১০/৩১ নম্বর বুথে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। তারপর কুমারগ্রামের বিভিন্ন বুথে যান প্রকাশচিক বড়াইক।
ভোট প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভ্ট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। ওরা হারছে বুঝেই এদিন সকাল থেকে গন্ডগোল শুরু করে। দিদির গ্যারান্টিতেই মানুষ ভোট (Lok Sabha Vote 1st Phase) দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নারীশক্তি আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জয়-জয়কার