সংবাদদাতা, রেজিনগর : ‘‘হুমকি দিয়ে মানুষকে বশ করতে চায় বিজেপি। সে কারণেই পুলিশ প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে থাকেন শুভেন্দুবাবু, দিলীপবাবুরা।’’ বুধবার রেজিনগর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বেলডাঙা ২ ব্লকের বাজারসৌ পিডব্লুডি ময়দানে এক জনসভায় স্পষ্ট অভিযোগ তুললেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার মিথ্যাচারের জবাব দিল কোতুলপুর
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে হুমকি দেওয়া বিজেপির বরাবরের স্বভাব। কিন্তু হুমকি দিয়ে বাংলার মানুষের নরম মন জয় করতে পারবে না বিজেপি।’’ প্রসঙ্গত, দু’দিন আগে বাজারসৌ এলাকায় বিজেপির জনসভায় এসে শুভেন্দু অধিকারী স্থানীয় ওসিকে নাম ধরে হুমকি দেন। শক্তিপুরের ওসি নাকি বিজেপির সভার কিছু মাইক খুলে নিয়েছিলেন! ওই প্রকাশ্য জনসভায় ওসিকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই ওসিকে দিয়ে ৩৪টি মাইক লাগিয়ে তিনি বক্তব্য রাখবেন! তৃণমূলকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’’ সেই সভার পাল্টা জনসভা করল তৃণমূল। বিজেপির ওই সভামাঠের উল্টোদিকে বাজারসৌ এলাকার পিডব্লুডি মাঠে সভা করল তৃণমূল। সভায় পাঁচগুণ বেশি লোকের সমাগম হয়। অন্যদিকে জঙ্গিপুর তৃণমুল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা সম্পর্কে দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর আগে যেমন মহালয়া আসে, তেমনি ভোটের আগে সিবিআই, আয়কর দফতরের হানা শুরু হয়। এটা নতুন ব্যাপার নয়। সমস্ত কিছু মোকাবিলা করার অভ্যাস আছে তৃণমূলের।’’ দেবাংশুর কথায়, গত পঞ্চায়েত ভোটে নাকি লুঠ হয়েছিল! যদি তা-ই হয় তাহলে সেসময় মুর্শিদাবাদের তৃণমূল অবজারভার ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে শুভেন্দুবাবু ইচ্ছে করেই ওই কাজ করেন, যাতে অমিত শাহের বিজেপিতে ঢুকে পরে তৃণমূলকে গালিগালাজ করতে পারেন।’’
আরও পড়ুন-শাহিস্নানের আগেই গোটা ভারত ভেঙে পড়ল সাগরে
শুভেন্দুর দুটি পুরনো অডিও টেপ মঞ্চে বাজিয়ে দেবাংশু বলেন, ‘‘উনি আগে বলতেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। এখন উল্টো গাইছেন। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার সময় জুতো খুলে প্রত্যেক হিন্দুর উচিত রাম নাম করা। অথচ বিজেপি সেটা মেনে চলে না। বিজেপি যেভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সেই গ্যাসের দাম দিতে পারছেন না দরিদ্র মানুষ। ফলে সেই তাঁদের পাশে থাকার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উন্নয়ন দেখে জ্বালা হচ্ছে বিজেপির। আগামী লোকসভা ভোটে সিপিএম শূন্য হবে। লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী দলনেতার তকমা থাকবে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন হালকা করে দরজা খুলবেন। আর সেই দরজা একটু খুললে কী হবে দেখবেন।’’ সভায় ছিলেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহরায়, সাংসদ আবু তাহের খান, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি, জেলা ছাত্র পরিসদ সভাপতি বিশ্বদেব কর্মকার প্রমুখ।