প্রতিবেদন : লাগাতার বিধানসভায় অভব্য ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং ছলে-বলে-কৌশলে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রেখেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু বিধানসভার অধিবেশনে রোজই এ-ধরনের হট্টমেলা ও হইহট্টগোল করতে গিয়ে বিধানসভার মর্যাদাহানি হচ্ছে। বিরোধী দল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক-মন্ত্রীকে প্রশ্ন করছেন কিন্তু তার উত্তর শোনবার মতো ধৈর্য বা মানসিকতা তাদের নেই। বৃহস্পতিবারও একই কাজ করায় বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও কড়া পদক্ষেপ নিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, এদিন সেলস ট্যাক্স সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনার সময় বিজেপির যেসব বিধায়ক বক্তব্য রেখেছেন সেইসব বক্তব্য রেকর্ড হবে না, সেগুলি এক্সপাঞ্জ করা হল। এই ধরনের পদক্ষেপ সাম্প্রতিককালে সংসদে কিংবা দেশের কোনও বিধানসভাতে ঘটেনি। কিন্তু বাংলায় বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি নিজেদের এতটাই নিচে নামিয়ে এনেছে যে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হল। বিজেপির এই ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের বিরুদ্ধে একযোগে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী ও বিধায়কেরা।
আরও পড়ুন-প্রয়াত বর্ষীয়ান সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি প্রশ্ন করবে কিন্তু তাদের উত্তর শোনবার ধৈর্য থাকবে না তা হতে পারে না। এরা নিজেদেরটুকু বলে হইহট্টগোল করে বেরিয়ে চলে যাবে। যে প্রশ্ন তাঁরা করলেন তার উত্তর কেন শুনবে না বসে থেকে? শুনতে হবে। প্রসঙ্গত সেলস ট্যাক্স বিল নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখার সময়েই বিজেপির গোলযোগ চরমে পৌঁছয়। মন্ত্রী চিৎকার করে বলেন এ জিনিস চলবে না উত্তর জানতে চাইলে তা বসে শুনতে হবে। কিন্তু বিজেপি বিধায়করা তাতে কর্ণপাত করেননি। এই ঘটনা নিয়ে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভা বিরোধীদের জায়গা। কিন্তু তাঁরা যে আচরণ করছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এদিন আমি অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা আমার কথা না শুনে গুরুত্ব না দিয়ে হইহট্টগোল করে বেরিয়ে গেলেন। বিধানসভার রুল ৩২৫-এর উদাহরণ তুলে তিনি বলেন এই অনুযায়ী কোনও সদস্য বিধানসভায় তাঁর বক্তব্য রাখার পরই কক্ষ ত্যাগ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। আমি বললেও আমার কথা শোনেননি। তাই ওদের বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দিতে বলেছি, এক্সপা়ঞ্জ করেছি। অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের আচরণ যদি চলতে থাকে তবে আরও কড়া সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে।।