আবাসের টাকা আটকে ফের শুরু বিজেপির নোংরা রাজনীতি

টিম বাংলার বিভিন্ন জেলা ঘুরে একাধিক প্রকল্পের ছানবিন করে যে রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তাতে কোথাও কোনও অভিযোগের লেশমাত্র মাত্র নেই।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য প্রকাশ্যে এনে বিজেপির মিথ্যাচারের প্রমাণ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে বিজেপি তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যে নজির তৈরি করেছে আসলে তা যে বাংলায় হারের জ্বালা মেটাতে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারেরই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এ-রাজ্যে গত দু’বছরে বহু কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। সেই টিম বাংলার বিভিন্ন জেলা ঘুরে একাধিক প্রকল্পের ছানবিন করে যে রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তাতে কোথাও কোনও অভিযোগের লেশমাত্র মাত্র নেই।

আরও পড়ুন-রুশ হামলার ছবি আঁকায় আটক নাবালিকা

অনিয়ম বা দুর্নীতি যে হয়নি বিজেপি সরকারের পাঠানো টিমই তা তাদের জানিয়েছে লিখিত রিপোর্টে। বরং একাধিক ক্ষেত্রে প্রশংসাসূচক রিপোর্ট রয়েছে। এসব সত্ত্বেও বিজেপি স্রেফ রাজনৈতিক কারণে বাংলাকে বঞ্চিত করছে। এবার কী করবেন বঙ্গ বিজেপির লোডশেডিং বিধায়ক-ট্রেনি সভাপতিরা? মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করে নিল, চলতি অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গকে কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীপক অধিকারী(দেব)র লিখিত প্রশ্নের জবাবে জানালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। তিনি লোকসভায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যকে টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। অনিয়মের কারণ দেখিয়ে বাংলাকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন-ঘুষকাণ্ডে এবার গ্রেফতার কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক

লিখিত প্রশ্নে দেব জানতে চেয়েছিলেন, গ্রামীণ আবাস যোজনা খাতে কোন কোন রাজ্যের টাকা আটকে রাখা হয়েছে? তাঁর প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া হয়নি। দেবের লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পর্যন্ত সময়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে মোট ২,০১,৯৪৭.৩৯ কোটি টাকা। তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ২৫,৭৯৭.৫৩ কোটি টাকা। তবে এই পরিসংখ্যান ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে শুরু করে ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষের ২১ মার্চের হিসেবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও অনিয়মের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন-অঙ্গনওয়াড়িতে এলপিজি

একইসঙ্গে টাকা না দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য একটাই, পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করা। একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে টার্গেট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের একজন মুখ্যমন্ত্রীকে তার জন্য সত্যাগ্রহে বসতে হচ্ছে। এই ধরনের দুরভিসন্ধিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত সংসদীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে এবং তা ভবিষ্যতে নজির হিসেবে থেকে যাবে।

Latest article