ফের মাত্রাছাড়া অসভ্যতা বিজেপির

অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে যে অসভ্যতা শুরু হয়েছিল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেও তা অব্যাহত রাখল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

Must read

প্রতিবেদন : অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে যে অসভ্যতা শুরু হয়েছিল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেও তা অব্যাহত রাখল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিধানসভার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন একটা বিষয়কে তুলে ধরে অধিবেশন ভন্ডুল করতে সকাল থেকেই মাঠে নামে গেরুয়া পার্টি। গন্ডগোল থামাতে মার্শালকে ডাকেন স্পিকার। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি জানায়, চেয়ারের দিকে আঙুল তোলা যায় না। বিধানসভার ভিতরে কালো পতাকা নিয়ে বিজেপির এই বিক্ষোভের জেরে তুমুল হই-হট্টগোল হয়।
বিধানসভার গেটের বাইরে কাগজ ছিঁড়ে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বিজেপি। নেপথ্যে থেকে এই পুরো কর্মসূচি পরিচালনা করেন গদ্দার অধিকারী।

আরও পড়ুন-ভোট প্রক্রিয়া শুরু মোহনবাগানে, পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী বোর্ড গঠন

এদিন বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার সময় থেকেই শঙ্কর ঘোষ-সহ বিধায়করা বারুইপুরে গদ্দারের মিছিলে হামলার অভিযোগ তুলে মুলতুবি প্রস্তাব আনে। যা শুনে স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন, এটা বিধানসভার বাইরের ঘটনা। শুনেই খেপে যান তাঁরা। শুরু হয় স্লোগানিং। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী-সহ বিজেপি বিধায়করা। আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। এরপর সোজা বিধানসভা গেটের বাইরে চলে যান তাঁরা। সেখানে কালো পতাকা দেখানো হয়। চলে স্লোগানিং। পোড়ানো হয় স্পিকারের কুশপুতুল। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাশি রাশি কাগজ এনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। গেটের বাইরে ধরনায় বসে গাড়ি চলাচল আটকে দেওয়ারও পরিস্থিতি তৈরি করে বিরোধীরা। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার অবশ্য দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপির এই ধরনের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির এ ধরনের আচরণে ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মন্তব্য করেন, বিরোধীদের এই আচরণ কাম্য নয়। সম্পূর্ণ বাইরের একটি বিষয় নিয়ে হাওয়ায় চিৎকার করে গেলেন ওঁরা। এইভাবে স্পিকারের চেয়ারের দিকে আঙুল তোলা যায় না। পরে বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর পদত্যাগের দাবি সম্পর্কে বিমানবাবু বলেন, স্পিকারকে চেয়ার থেকে সরানোর নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। কিন্তু বিজেপি সাংবিধানিক কোনও প্রক্রিয়ায় থাকতে চায় না। বিধানসভার ভিতরে সব কর্মসূচিতেই তারা অদৃশ্য। এদিকে অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিধানসভায় অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলের উপর আলোচনার সময় বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বিধানসভা আজ এক রাজনৈতিক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হল। দর্শক-আসনে উপস্থিত ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা কী শিখছে, তারা ও তাদের পরিবারের লোকেরা রাজনীতিতে আসতেও অনীহা দেখাবে। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প যেমন ভারতবর্ষ নকল করছে আগামী দিনে প্রতিবাদও সারা দেশ নকল করবে। বিধানসভা অধিবেশনকক্ষ ছেড়ে চলে যাওয়ায় মন্ত্রী বলেন, বিজেপি পালিয়ে গেল! কারণ ওদের দম নেই।

Latest article