নীতীশের রাজ্যে একের পর এক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির খুন। রাজ্যের এমন পরিস্থিতি যে এখন সঙ্কটে খোদ নেতাদেরই প্রাণ। গত ৪ জুলাই রাতে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন বিহারের (Bihar) স্বনামধন্য ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা। বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামতেই আততায়ীরা তাঁকে খুন করে পালিয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহের মধ্যেই পাটনাতেই খুন হলেন বিজেপির কিষাণ মোর্চার নেতা সুরেন্দ্র কেওয়াত। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সুরেন্দ্র শেখপুরার মাঠে কাজ করার সময়ে দুই আততায়ী বাইকে চেপে সেখানে আসে। বাইক থেকেই আততায়ীরা সুরেন্দ্র কেওয়াতকে লক্ষ্য করে পর পর চারটি গুলি করে পালিয়ে যায়। আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে ৫২ বছরের বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাটনার এইমস-এ নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-সোমবার থেকে নিখোঁজ পঞ্জাবের গোয়েন্দা বিভাগের কনস্টেবল
ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পিপড়া থানার পুলিশ। ফরেন্সিক দলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। সুরেন্দ্রর পরিবারের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর পেয়ে ফুলওয়ারির বিধায়ক সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর গোপাল রবিদাস ও বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম রজক হাসপাতালে যান। নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। পর পর দুটি ঘটনার পর তেজস্বী যাদব এনডিএ জোট সরকারকে নিশানা করে এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘’পাটনায় একজন বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হল। কী বলব আর কাকে বলব? এনডিএ সরকারের কেউ কি সত্যি কথা শুনতে বা তাঁদের ভুল স্বীকার করতে চান?’’