ভোটের মুখে কেজরিকে বিপাকে ফেলতে নয়া চক্রান্ত বিজেপির, ইডিকে অনুমোদন দিল মোদি সরকার

ভোটের আগে সেই সম্মতি এসেছে। এরপর উপরাজ্যপালের সম্মতি অনুযায়ী ইডিকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দিল অমিত শাহের মন্ত্রক।

Must read

প্রতিবেদন: নির্বাচনের মুখে ফের প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করল বিজেপি। দিল্লির বিধানসভা ভোট যখন দোরগোড়ায় তখন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে বিপাকে ফেলতে নয়া চাল কেন্দ্রের। বুধবার আপের এই দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আবগারি (মদ) কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) আইনি প্রক্রিয়া চালানোর অনুমতি দিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাকসেনা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই অনুযায়ী ইডিকে তদন্ত চালানোর অনুমতি দিয়েছে। বিধানসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রের এই অতিসক্রিয়তার পিছনে বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছে আম আদমি পার্টি।

আরও পড়ুন-গ্রিনল্যান্ড কিনতে আগ্রহী ট্রাম্প, মূল্যনির্ধারণও চর্চায়

ইডির অভিযোগ, আবগারি মামলার ‘কিংপিন’ হলেন কেজরিওয়াল। তিনিই মূল ষড়যন্ত্রকারী। সিসোদিয়া তাঁর দোসর। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভার ভোট হবে। ভোটের আগেই এই অনুমতি দান ও তদন্তের নির্দেশ স্বাভাবিকভাবেই নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশি বলেছেন, হার নিশ্চিত জেনে বিজেপি এখন এভাবে ভয় দেখাচ্ছে। এই খেলা এখন সবাই জেনে গিয়েছে। এতে লাভ হবে না। দিল্লির মানুষ আরও একবার আপকেই বেছে নেবেন। গত ৬ নভেম্বর কেজরিওয়ালের দায়ের করা আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। আগে ইডির দায়ের করা মামলায় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে রাজ্য সরকারের সম্মতি লাগত না। সেই সম্মতি নিতে হত শুধু সিবিআই বা রাজ্য পুলিশকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর কেজরিওয়াল ও সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে ইডি উপরাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল। ভোটের আগে সেই সম্মতি এসেছে। এরপর উপরাজ্যপালের সম্মতি অনুযায়ী ইডিকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দিল অমিত শাহের মন্ত্রক।

Latest article