প্রতিবেদন : বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-কে নকল করে মহারাষ্ট্রে ‘লড়কি বহিন’ (Ladki Bahin) প্রকল্পের লোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির প্রতিশ্রুতি যে ভাঁওতা তা বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রমাণ হয়ে গেল ফের। এখন মহারাষ্ট্রে বিজেপির উপর আস্থা রাখার মূল্য চোকাতে হচ্ছে মহারাষ্ট্রের মহিলাদের।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প এখন সারা দেশে মডেল। সেই প্রকল্পের অনুকরণ করতে শুরু করেছে অন্যান্য রাজ্যও। কিন্তু বাংলার মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে কোনও সরকারই এই প্রকল্পকে চালিয়ে যেতে পারছেন না। বাংলার দেখাদেখি মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোট সরকার চালু করেছিল লড়কি বহিনা প্রকল্প। এই প্রকল্পে ভোটের আগে মহিলাদের প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এখন এক ঝটকায় সেই ভাতা ১,০০০ টাকা কমিয়ে মাত্র ৫০০ টাকা করে দিল বিজেপির ভাঁওতাবাজ সরকার।
আরও পড়ুন- এসটিএফের সাফল্য, উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার ৪
মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতারণা ও মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করে তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছে। তৃণমূলের তরফে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা কি সুশাসন? এটা মহিলা ক্ষমতায়ন? একেবারেই না, এটাই হচ্ছে বিজেপির প্রতারণার রাজনীতি! ‘লাডলি বহিন’ (Ladki Bahin) যোজনাকে হাতিয়ার করে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি-জোট সরকার। বাজেটে সেই প্রকল্পেরই বরাদ্দ একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হয় ১০ হাজার কোটি! মহারাষ্ট্রে লড়কি বহিনা প্রকল্পে ভাতা পেতে গেলে বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার কম পারিবারিক আয় থাকতে হবে। সরকারি কর্মচারী বা চার চাকার গাড়ি আছে এমন পরিবারগুলি যোগ্য নয় এই পরিষেবা লাভের ক্ষেত্রে। একটি পরিবারে একজন মহিলাই এই পরিষেবা পাবেন। কিন্তু বাংলায় সমস্ত মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উপভোক্তার সংখ্যা ঝাড়াই-বাছাই করে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ কমিয়েও ক্ষান্ত হলেন না, তারপর ভাতার পরিমাণও হ্রাস করে মহিলাদের চূড়ান্ত অপমান করলেন।