প্রমাণিত স্থানীয় সংগঠনে বেহাল দশা বিজেপির, নন্দীগ্রাম থেকে লোক আনা হল যাদবপুরে মিছিল করতে

সকালের জলখাবার, দুপুরের ভূরিভোজ, বিকেলের টিফিন। সঙ্গে কলকাতা ঘোরানোর টোপ। এসবের ঢালাও ব্যবস্থা করা হলেও বাস ভরাতে পারেনি গদ্দার ও তার বাহিনী।

Must read

প্রতিবেদন : দলের ছাত্র সংগঠন বলে কিছু নেই। এবিভিপি খায় না মাথায় দেয় কেউ জানে না। এই অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থেকে লোক এনে যাদবপুর ইস্যুতে মিছিল করে বিজেপির মুখ পোড়াল গদ্দার অধিকারী। লজ্জার এখানেই শেষ নয়! নন্দীগ্রাম থেকে বাস ভাড়া করে আনতে হয়েছে সেটা একটি দিক। তার থেকেও বড় বিষয়, নন্দীগ্রামে বাস সংগঠনের কাছ থেকে বাস ভাড়ায় চাওয়া হলে তাঁরাও চারটের বেশি বাস দিতে চাননি। সকালের জলখাবার, দুপুরের ভূরিভোজ, বিকেলের টিফিন। সঙ্গে কলকাতা ঘোরানোর টোপ। এসবের ঢালাও ব্যবস্থা করা হলেও বাস ভরাতে পারেনি গদ্দার ও তার বাহিনী।

আরও পড়ুন-৩৯ কোটি ৩২ লক্ষ ডিজিটাল লেনদেন, রেকর্ড গড়ল বাংলা, কেন্দ্রের রিপোর্টেই পিছনে ডবল ইঞ্জিন রাজ্য

নন্দীগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানিয়েছেন, বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতি যাদবপুরের মিছিলের জন্য ফেসবুকে পোস্ট করে লোক জোগাড় করতে মাঠে নেমেছিল। শনিবার করা ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘রবিবার (আগামীকাল বলে লেখা) সকাল ছয়টায় নন্দীগ্রাম মণ্ডল ১-এর পক্ষ থেকে মহম্মদপুর পাকার ব্রিজ, শ্রীপুর, টেঙ্গুয়া হইতে বাস ছাড়বে। সবাইকে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন জানাই’। তবেই বুঝুন। বিজেপির সংগঠনের অতি করুণ অবস্থা একেবারে প্রকাশ্যে এল এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে। যাদের যাদবপুরে মিছিল করার লোক জোটে না তারা আবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের খোয়াব দেখে! কটাক্ষ বাপ্পাদিত্যর।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতির ফেসবুক পোস্ট ও নন্দীগ্রাম থেকে আনা বাসের ছবি পোস্ট করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করে লিখেছেন, বিজেপির হাল! মিছিল যাদবপুর ইস্যুতে যাদবপুরে। কিন্তু লোক আনতে হল নন্দীগ্রাম থেকে। কোনও একটি এলাকায় সেখানকার জমায়েত করার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া বিরোধী দলনেতার মিছিল অন্য একটি শিবির না এসে ডোবাবে বলে নিজেই কিছু লোক জোগাড়ের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। বুঝুন দলটার অবস্থা।

আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশে পা ফস্কে কুয়োর মধ্যে ১২০ ফুট গভীরে পড়ে মৃত্যু যুবকের

তৃণমূলের বক্তব্য, প্রথমত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার সম্মেলনে গিয়ে বামগুন্ডা ও লুম্পেনদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও অন্যান্য অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা। এখানে বিজেপি বা এবিভিপির কোনও ভূমিকা নেই। অথচ শুধুমাত্র ফুটেজ খাওয়ার জন্য ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি। তাও বোঝা যেত যদি কলকাতার ছাত্র সংগঠন ও লোকজন দিয়ে মিছিল করতে পারত। সে মুরোদ হয়নি। এদিন মেরেকেটে হাফ কিলোমিটার মিছিল করেছে তারা। রবিবাসরীয় সকালে গদ্দার অধিকারীর এই হাস্যাস্পদ কাজকর্ম দেখে বিজেপির অন্দরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দলের অন্দরেরই চলছে ছিচ্ছিক্কার! কলকাতাতেই যখন লোক নেই তখন কোন আক্কেলে নন্দীগ্রাম থেকে লোক এনে মিছিল করতে গেল বিরোধী দলনেতা? এই প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই। গদ্দার অধিকারীর এই ধরনের তুঘলকি কাজকর্মে বিরক্ত বিজেপির একটি বড় অংশ।

Latest article