প্রতিবেদন: দু’দিন কাটতে না কাটতেই ফের আন্দোলনকারী কৃষকদের উপরে দমননীতি চালাল পুলিশ। শম্ভু সীমানায় কৃষকদের রুখতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস কিছুই বাকি রাখল না গেরুয়া হরিয়ানার পুলিশ। রবিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সীমানা এলাকা। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জখম এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ১৫ জন কৃষিজীবী। আশ্চর্যজনকভাবে এদিন পুলিশের মধ্যে এক অভূতপূর্ব দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কৃষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিল দিল্লির দিকে এগোতে চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে ফুল ছোঁড়ে। তারপরে বিনা প্ররোচনায় আচমকাই লাঠি চালাতে শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হলে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। শম্ভু সীমান্তের পরে এদিন আর দিল্লির দিকে এগোতে পারেননি আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গি, তৎপরতা প্রশাসনের
রবিবার সকাল থেকেই পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত কার্যত সিল করে দিয়েছিল পুলিশ। কয়েকগুণ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল শম্ভু এবং খানোরি সীমান্তে। জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই দিল্লির দিকে এগিয়ে যেতে নাছোড়বান্দা আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেড টপকে এদিন শেষপর্যন্ত অবশ্য তা সম্ভব হয়নি। লক্ষণীয়, আম্বালা থেকে শম্ভুর মাঝে শুক্রবার ঠিক এভাবেই আটকে দেওয়া হয়েছিল সংযুক্ত কিসান মোর্চার দিল্লি চলো অভিযান। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, ঋণ মকুব, পেনশন এবং বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি না করার দাবি জানিয়ে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয় তারা। ওইদিন রাজ্যসভায় কৃষিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতেও কিন্তু চিঁড়ে ভেজেনি।