আর জি কর কাণ্ড নিয়েও নোংরা রাজনীতি শুরু বিরোধীদের। আর জি করে (R G Kar) পড়ুয়া ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তাল দেশ। ইতিমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি মেনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে বুধবার রাতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়লেও শুক্রবার ফের রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টায় পথে নামে গেরুয়া বাহিনী। শুধু বিজেপি বললে ভুল হবে। এদিন ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। নিজেদের নীতি, আদর্শ ভুলে তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এবার শহর তথা রাজ্যকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে কোনও চেষ্টার খামতি চোখে পড়েনি। তবে পুলিশি তৎপরতায় দাঁত ফোঁটাতে পারেননি বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা।
আরও পড়ুন-আর জি করে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১৯, ৫ জনকে ধরিয়ে দিলেন আমজনতাই
আর জি কর (R G Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবারই ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। আর জি কর হাসপাতালের অদূরে শ্যামবাজার ১ নম্বর মেট্রো স্টেশনের কাছে সেই মতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। বারবার বারণ সত্ত্বেও গাজোয়ারি করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপির দাদাগিরিতে এদিন অশান্ত হয়ে পড়ে দমদমের নাগেরবাজার এলাকাও। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর।
এসইউসিআই-র ডাকা বনধে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া এদিন তেমন কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি। সকাল থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ দেখালেও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ।