প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের আগে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে শাসক শিবির, বিরোধী শিবির অভিযোগ তুলেছে আগেই৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে চালানো হল বিশেষ অভিযান। উদ্ধার করা হল ২৮২ কোটির বেআইনি সামগ্রী। এ ব্যাপারে সবার আগে সরব হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠীর নেতা, সাংসদ সঞ্জয় রাউত৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে রাজ্যের বিধায়কদের প্রত্যেককে ৫০ কোটি টাকা করে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন সঞ্জয় রাউত৷ রাজ্যের একটি টোল ব্রিজে পুলিশি তল্লাশির সময়ে বাজেয়াপ্ত নগদ ৫ কোটি টাকার উদাহরণ টেনে এই অভিযোগ করেছিবেন সঞ্জয় রাউত৷
আরও পড়ুন-কুমিরনামা
রাজ্যের ২৮৮টি আসন বিশিষ্ট বিধানসভা ভোটের আগে শিবসেনার প্রবীণ সাংসদ সঞ্জয় রাউতের এই অভিযোগ যে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয়, তার প্রমাণ মিলেছে হাতেনাতে, নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের পরে৷ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন সূত্রের দাবি, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৮২ কোটি টাকার বেআইনি সামগ্রী৷ এর মধ্যে আছে বিলিতি মদ, উপঢৌকন এবং অন্যান্য নেশার সামগ্রী৷ সূত্রের দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর মধ্যে আছে নগদ ১০০ কোটি টাকা৷ কার টাকা, কোথায় পাচার হচ্ছিল, এই বিষয় নিয়ে চলছে তদন্ত, দাবি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ দাবি করছেন, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের অভিযোগই আরও জোরদার হল নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ২৮২ কোটি টাকার বেআইনি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায়৷