প্রতিবেদন : এসআইআর-এ অতিরিক্ত কাজের চাপে অতিষ্ঠ বিএলও-রা। পূর্ব বর্ধমানে দুই মহিলা বিএলও-র অসুস্থতা ও মৃত্যুর পর এবার খাস কলকাতায় কাজের চাপে অসুস্থ বিএলও। রবিবার সকালে কলকাতা পুরসভার ৩৪ নং ওয়ার্ডের ২০৫ পার্টের বিএলও অনিমেষ নন্দী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বেলেঘাটার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর এই অসুস্থতার পর মারাত্মক কাজের চাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অন্য বিএলও-রা। তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত কাজের চাপেই এই অবস্থা হয়েছে ওই বিএলও-র।
আরও পড়ুন-বিহারে ভোট কেলেঙ্কারি! নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য যা বলছে
প্রথমে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি। তারপর আবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সেই ফর্ম সংগ্রহ করা। এরপর সংগ্রহ করা সেই ফর্মের ডেটা কমিশনের খাতায় এন্ট্রি করা। সবমিলিয়ে স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএলও করে তাঁদের মাথায় পাহাড়প্রমাণ কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। বিভিন্ন জেলায় এর জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন বিএলও-রা। আবার অতিরিক্ত কাজের জন্য অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেক বিএলও। এদিন বেলেঘাটা অঞ্চলে সুপারভাইজারের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বিএলও। সহকর্মীদের অভিযোগ, সুপারভাইজার ওই বিএলও-কে কোনও কটু কথা বলেননি। কিন্তু সময়ে কাজ শেষ করতে পারবেন কি না, সেই চিন্তা থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের দাবি, চিকিৎসকরা তাঁকে অন্তত একদিন পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছেন।
এর আগেও বৃহস্পতিবার কালনার এক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিঙ্কু মজুমদার নামে এক মহিলা বিএলও। আবার মেমারিতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এসআইআর ফর্ম বিলির সময় বিপুল কাজের চাপে ব্রেনস্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হয় নমিতা হাঁসদা নামে আরও এক বিএলও-র। কমিশনের তরফে বিএলও-দের উপর চাপিয়ে দেওয়া এই অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায়, নির্বাচন কমিশন এসআইআর নিয়ে পুরোপুরি গায়ের জোরে জবরদস্তি করছে। রাজ্য সরকারের প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কী করার থাকতে পারে? আমি দেখেছি, বিএলও-রা অনেকক্ষেত্রেই কাজের চাপে অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন। এখন দেখা যাক কী ফল দাঁড়ায়!

