রক্তব্যাধি রুখতে দুয়ারে হবে রক্তপরীক্ষা

এটি একধরনের ক্রনিক রোগ, যার মেয়াদ হতে পারে সারাজীবন। তথ্যের দাবি, রাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ।

Must read

প্রতিবেদন : রক্তের এক বিরল রোগ। এই রোগে ভেঙে যায় লোহিতকণিকা। সময়ের আগেই মৃত্যু হয় এগুলির। সময়মতো চিকিৎসা করা গেলে অবশ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই দুরারোগ্য ব্যাধি। অন্যথায় ডেকে আনতে পারে মৃত্যুকেও। রোগের নাম ‘সিকেল সেল ডিসঅর্ডার’। বলা যেতে পারে ‘সিকল সেল অ্যানিমিয়া’ও। এই রোগের বিরুদ্ধে এবারে সর্বাত্মক লড়াইয়ে নামছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রোগীদের চিহ্নিত করে যথাযথ চিকিৎসার লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তপরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে নতুন হিন্দমোটর

‘দুয়ারে রক্তপরীক্ষা’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে পাড়ায় পাড়ায় রক্তপরীক্ষা শিবির শুরু হচ্ছে অগাস্টের গোড়াতেই। এই রোগের বৈশিষ্ট্যটা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বংশগতির ধারায় প্রবাহিত হয় অনেকগুলি অসঙ্গতি। কী লক্ষণ এই রোগের? শুকনো কাশি, গাঁটে ব্যথা। সঙ্গে বারবার জ্বরের উপসর্গ। এই রোগে আক্রান্ত হলে লোহিতকণিকা বারবার ভাঙতে থাকে। অনেকটা কাস্তের আকার নেয়। দেখতে লাগে শিকলের মতো। রক্তের অক্সিজেন সংবহন ক্ষমতা ক্রমশ কমতে শুরু করে। রক্তাল্পতা রোগের যাবতীয় উপসর্গ। যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি দৈহিক দুর্বলতা। এটি একধরনের ক্রনিক রোগ, যার মেয়াদ হতে পারে সারাজীবন। তথ্যের দাবি, রাজ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ।

আরও পড়ুন-পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে বিভিন্ন হস্তশিল্পের স্টল: মুখ্যসচিব

এর বাইরেও কত মানুষ এই রোগের শিকার তা খুঁজে বের করতেই রক্তপরীক্ষার এই বিশেষ অভিযান। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং স্কুল-কলেজেও চলবে রক্তের বিশেষ পরীক্ষা নেসট্রফ সলিবলিটি। কলকাতায় তো বটেই, দেখা যাচ্ছে বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপু্র–সহ বেশ কিছু জেলার তফসিলি জাতি, উপজাতিদের মধ্যে এই বংশগত রোগের প্রবণতা বেশি। কঠিন এই রক্তরোগ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এবারে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে রাজ্য।

Latest article