কসবার (Kasba) ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের এরিয়া কমিটির দফতরে শনিবার রাতে কমিটির বৈঠক চলছিল। সেখানেই কথাকাটাকাটি থেকে হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গেল হাতাহাতি। একটা সময়ের পর ঘটনা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল যে সেখানে কারও হাতে সেলাই পড়ল, আবার কারও কপালে ব্যান্ডেজ। বৈঠক মাঝপথেই পণ্ড। এটা একেবারেই নতুন ঘটনা নয়, এর আগেও কসবার সিপিএমের এই এরিয়া কমিটির বৈঠকে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কয়েক মাস আগে বৈঠকে অশান্তির মধ্যেই এক সিপিএম নেতা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন রাতেও সেই সিপিএম নেতার হাতেই কামড় পড়েছে।
আরও পড়ুন-তেলঙ্গানায় সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের ১৪টি ঠিকানায় উদ্ধার বিপুল পরিমান সম্পত্তি
কসবার ওই বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপু দাস যদিও তিনি কোনভাবেই ঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেন নি। দলের উচ্চতর কমিটির অনেক নেতা ঘটনার কথা শুনে ক্ষুব্ধ হলেও অনেকেই বিন্দুমাত্র বিস্মিত নন। জানা গিয়েছে, আগেও জাঙ্গিপাড়ায় জেলা সম্মেলনে এমন গন্ডগোল হয়েছিল, সম্মেলন মঞ্চে প্রবীণ নেতা নির্মল মুখোপাধ্যায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কয়েক দিন বাদে তাঁর মৃত্যুও হয় হাসপাতালে। যেখানে পাখির চোখ ২৬ এর ভোট সেখানে এর মধ্যেই নগ্নভাবেই প্রকাশ্যে এসেছে কমরেডদের দলীয় কোন্দল। তবে প্রবীণ নেতাদের নিজেদের মধ্যে এভাবে হাতাহাতি ও রক্তারক্তির ফল যে ভোটবাক্সে পড়তে চলেছে এই বিষয়ে সন্দেহ নেই।