অনুরাধা রায়
বিক্রি বেশি মেলাতেই (Mela)। মিলছে নগদ টাকা। লাভবান হচ্ছেন বাংলার হস্তশিল্পীরা। গ্রামীন হস্তশিল্পীদের রোজগার বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে মেলা, প্রদর্শনীর। মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই পুজোর মেলার আয়োজন করেছিল বিএনসিসিআই। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বসেছিল সেই মেলা। রাজ্যের ১৬টি জেলা থেকে হস্তশিল্পীরা এসেছিলেন। রেকর্ড বিক্রির কারণে একমুখ হাসি নিয়ে ফিরেছেন শিল্পীরা। মেলায় ৭২টি স্টলের মধ্যে ছিল হাতে একটি শাড়ির স্টল। নানা রঙের নকসা করা সেই শাড়ি দেখে চোখ থামতে বাধ্য। প্রত্যেকটি শাড়িরই হল হাতে বোনা তসর। লাল, নীল, হলুদের নকসায় বোনা তসরের সম্ভার নিয়ে এসেছিলেন গুরুপদ ভালকুন্দি। বীরভূমের রামপুরহাটের ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের বাসিন্দা তিনি। এইগ্রামে প্রত্যেকটি বাড়িতেই রয়েছে তাঁত। পাওয়ারলুম নেই, সবই হ্যান্ডলুম অর্থাৎ হস্তচালিত তাঁত। মহিলা, পুরুষ এই গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বলে জানালেন গুরুপদ।
এক একটি শাড়ি তৈরি করতে কতদিন সময় লাগে? এই উত্তর ছিল অবাক করার মত। গুরুপদ জানালেন, দু’দিনের মধ্যেই একটি তসর শাড়ি তৈরি হয়। তবে সঙ্গে আর একজন সহকারী লাগে। বাজারে না মেলায়, লাভ কোথায় বেশি? গুরুপদ উত্তর দেন, লাভ অবশ্যি মেলায় বেশি। কারণ মেলাতেই নগদ থাকা সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এখন অনেক বেশি মেলা (Mela) হচ্ছে, ভিনরাজ্যেও যাচ্ছি আমরা। রোজগারও বাড়ছে। আমরা খুশি।
বাড়ছে বিক্রি, মিলছে নগদ মেলায় খুশি তসর শিল্পীরা
