প্রতিবেদন : মালদায় প্রশ্ন ফাঁস আসলে বিজেপির পরিকল্পিত। রাজ্য সরকারকে বদনাম করতে এবং নিজেদের অপকর্ম ঢাকতেই বিজেপির এই চক্রান্ত। এমনটাই মন্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে বাংলা প্রশ্নপত্রের দুটি পাতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে বিজেপির ট্রেনি সভাপতি ট্যুইট করেন। এরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মন্ত্রী ট্যুইট করে লেখেন, সুকান্তবাবুর স্নেহধন্য দুই ছাত্র মালদায় টুকতে গিয়ে কিউ আর কোড-সহ প্রশ্নপত্র নিয়ে ধরা পড়েছে, সেটাকে ঢাকতেই তড়িঘড়ি এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের গল্প নাকি? এই সূত্রে ওঁর অন্যান্য স্নেহধন্য ছাত্রদের পরামর্শ দিই, অপকম্ম করতে গিয়ে ধরা পড়লে সরকারের বদনামের বদলে নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন বন্ধুরা।
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ
এদিকে মালদহের দু’টি স্কুলের দু’জন পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কড়া ব্যবস্থা নিল পর্ষদ। সমাজ মাধ্যমে দেখার পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৎপর ভূমিকা পালন করে। কিউআর কোড স্ক্যান করে কোনও পরীক্ষার্থী এই ছবি তুলেছে, তা বের করা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছুক্ষণ পর সমাজ মাধ্যমে প্রশ্নের ছবি বেরিয়ে পড়ে। রায়গ্রাম হাইস্কুল ইংলিশবাজার ৩, বেদ্রাবাদ হাইস্কুল লখিমপুর ৬– এই দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল দু’জন ছাত্র। দু’জনের মধ্যে একজন মালদার ন’ঘড়িয়া এবং অপরজন চামগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁদের পরীক্ষা এ-বছরের মতো বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আরএ কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে এই দুই অভিযুক্ত ছাত্রকে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। আপাতত ওই দুটি ফোন, এবং দুই ছাত্রের খাতা ও প্রশ্নপত্র ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ও অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ভ্রান্ত নীতি নিয়ে সরব কাকলি
অন্যদিকে, পুরুলিয়া, মালদা এবং ঝাড়গ্রাম থেকে দু’জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং একজনের থেকে স্মার্ট ওয়াচ পাওয়া গিয়েছে। এই তিনজনের পরীক্ষাও আজকের জন্য বাতিল করা হয়েছে ।