প্রতিবেদন : কেরলে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু হয়েছে নন্দীগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পর শ্রমিকের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো তো দূরস্থ্, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে খুঁজেও পাওয়া গেল না নির্লজ্জ ধান্দাবাজ গদ্দার অধিকারীকে। এদিকে কেরল থেকে শ্রমিকের দেহ ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার মৃত শ্রমিক (Migrant Worker) ভীমচরণ বারিকের দেহ এসে পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ অন্যেরা দায়িত্ব সহকারে দেহ নিয়ে নন্দীগ্রামে শ্রমিকের বাড়িতে পৌঁছে দেন। দীর্ঘদিন ধরে কেরলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন ভীমচরণ বারিক। গত রবিবার নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে আচমকা পড়ে যান ভীমচরণ। তিনদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর বুধবার প্রাণ হারান তিনি। কিন্তু নির্লজ্জ গদ্দার অধিকারী নিজের বিধানসভা এলাকারই ওই শ্রমিকের পরিবারকে কঠিন সময়ে পরিত্যাগ করেছেন। ন্যূনতম শোকপ্রকাশও করেননি। স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যায় দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ অন্যরা মৃত শ্রমিকের দেহ নিয়ে নন্দীগ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার

