পাপিয়া ঘোষাল, প্রাগ: চেক রিপাবলিক (Czech Republic- Durga Puja) প্রাগে একার উদ্যোগেই পুজোটা শুরু করেছিলাম। এ বার অষ্টম বর্ষ। বাউল আর ছবি আমার জীবনের অঙ্গ। বোহিমিয়ান শিল্পী আমি। তাই আমার দুর্গাও (Czech Republic- Durga Puja) আমার মতই। আড়ম্বরহীন, অনার্য , সহজিয়া। এক সাধারণ নারী যিনি নারী শক্তির প্রতীক। আমার দূর্গা মায়াহীন ও অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারিণী শুধুই তাঁর বোধি শক্তিতেই| তাঁর সর্বদেহে অলংকার তাঁর ভালোবাসার সাপ| তাঁর হাতে অস্ত্রের প্রয়োজন নেই| রয়েছে বাদ্যযন্ত্র। আমি বিশ্বাস করি বাউল শক্তিতেই অশুভ শক্তির পরাজয় সম্ভব| পুজোটা হয় আমার আখড়া পাড়া ঐতিহাসিক জব্রালাভে। তিথি ও বিধি মেনেই ষষ্ঠীর বোধন থেকে শুরু করে দশমীর সিঁদুর খেলাও হবে প্রতিবছরের মতই। নিয়ম মেনে পুজো করবেন যস ভগৎ। শাড়ি, আর নানান রঙে সেজে উঠেছেন আমাদের প্রতিমা। পুজোর বিশেষত্ব মায়ের পুজোয় মায়েরাই সব কাজ করেন। এই মহিলারা বিদেশী এবং প্রবাসী মহিলারা| পুজো কটা দিন জীবনের সব আনন্দ আমরা চেঁটেপঁুটে উপভোগ করি। এবারের পুজোয় মূল আকর্ষণ শক্তির ওপর প্রদর্শনী, সিনেমা, ঢাক ঢোল, গান ,বাজনা, নাচ ও মায়ের সাত্ত্বিক খিচুড়ি ভোগ। প্রদর্শনী রাঙিয়ে তুলবেন প্রখ্যাত শিল্পীরা। থাকবেন সস্ত্রীক ভারতের রাষ্ট্রদূত হেমন্ত ও সীমা কোটাওয়াল। থাকবেন চেক মেয়র যুজানা বেইবাদভা ও মিখেলা বর্ণদোভা। ইরান, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের প্রবাসীদের ভূমিকা এই পুজোয় চোখ পড়ার মত। দেশের মাটি ছাড়িয়ে সুদুর চেক রিপাবলিকে আমার প্রতিমা নারী শক্তির প্রতি প্রেম, পূজা ও শ্রদ্ধার প্রতীক।