দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট : শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা নিয়ে তৎপর হল বোলপুর পুরসভা। জানা গিয়েছে, পৌষমেলার আয়োজন করা নিয়ে ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পুরসভা। এ নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকও হয়েছে।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতীর মধ্যে অলিখিত চুক্তি অনুযায়ী মেলার মাঠের জন্য ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হয় ট্রাস্টকে। তারপর পুরো মেলাটি চলে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে। কর্মিমণ্ডলীর সহযোগিতায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। গত বছর কোভিড-কারণে পৌষমেলা বন্ধ থাকায় প্রভূত ক্ষতি হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে কুটিরশিল্পীদের। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। এবার একইভাবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতী উপাচার্যর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, পুরসভা উপাচার্য-সহ ট্রাস্টকে চিঠি দিয়ে, নিয়মমাফিক ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে বোলপুর পুরসভা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ নিয়ে ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে মেলার আয়োজন করতে চায়। তবে বিশ্বভারতী অনুমতি না দিলে, পৌষমেলা হবে ডাকবাংলো মাঠে।
আরও পড়ুন : বিরোধী নেতাকে তোপ ফিরহাদের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই পৌষমেলা ছিল অন্যতম প্রধান ইস্যু। বোলপুরে প্রচারে এসে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে নাম না করেও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনা করেছিলেন। বোলপুর পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, ‘‘পৌষমেলা হবেই।’’