প্রতিবেদন : ব্রাজিলের (Brazil) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে বামপন্থী লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে হেরে গিয়েছিলেন চরম দক্ষিণপন্থী জায়ের বলসোনারো। সেই পরাজয় মেনে নিতে পারেনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা। তাই রবিবার বলসোনারোর সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালান। ঘিরে ফেলেন দেশের সুপ্রিম কোর্ট। বলসোনারো সমর্থকদের আচরণে ফিরল ক্যাপিটল হিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার স্মৃতি। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি এভাবেই আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা।
স্থানীয় সময় রবিবার বিকেলে ভারতীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় (Brazil) অবস্থিত কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে ঢুকে পড়ে কয়েকশো বলসোনারো সমর্থক। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভিতরে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায় পুলিশ।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনায় মৃত ১৯
বেশ কিছুক্ষণ পর বলসোনারো সমর্থকদের হাত থেকে কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্ট পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় ব্রাজিলের পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট লুলা রাজধানীতে ছিলেন না। দেশের দক্ষিণাংশে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। বলসোনারো সমর্থকদের এই তাণ্ডবের পিছনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন লুলা। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে জনাদেশ না পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ফের প্রেসিডেন্টের মসনদ দখলের জন্য বলসোনারোই এই নির্লজ্জ ফ্যাসিবাদী আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন লুলা।
অন্যদিকে এই ঘটনায় তাঁর মদত থাকার ব্যাপারে লুলার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বলসোনারো। তাঁর সমর্থকদের এই তাণ্ডবের নিন্দা করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তবে বলসোনারো ট্যুইট করেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সকলেরই আছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনে পরাজয়ের পরে দেশ ছেড়েছেন বলসোনারো। তিনি এখন আমেরিকার ফ্লোরিডায় আছেন।