প্রতিবেদন: ছেলেদের মধ্যে উপযুক্ত শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। ছেলেদের শিক্ষা দিন এবং মেয়েদের বাঁচান। পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের। গেরুয়া মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ৩ ও ৪ বছরের দুই খুদে ছাত্রীকে যৌননিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল গোটা শহর। ভাঙচুর-অবরোধে অংশ নেন সাধারণ মানুষও। যৌননিগ্রহের এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে বম্বে হাইকোর্ট। বুধবার ছিল সেই মামলারই শুনানি। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি রেবতি মোহিত দেরে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চহ্বনের বেঞ্চে। শুনানির সময়েই এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন-শিবাজি-মূর্তি, বিস্ফোরক নীতিন
বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়,স্থানীয় থানার পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করতে পারছিল না বলেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দলকে। তবে একইসঙ্গে আদালত তদন্তকারীদের এটাও মনে করিয়ে দিয়েছে, এটি একটি বৃহত্তর বিষয়। মামলাটি আগামীতে এই ধরনের মামলাগুলির জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মানুষ তাকিয়ে রয়েছে এই মামলার দিকে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তাড়াহুড়ো করে চার্জশিট জমা দেবেন না। তার আগে সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া জরুরি। লক্ষণীয়, স্কুলের টয়লেটে খুদে পড়ুয়াদের যৌননিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল স্কুলেরই এক সুইপার। এদিকে বম্বে হাইকোর্ট এদিন একটি ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দিয়ে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণী দু’জনকেই ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে। ওই জরিমানার টাকা ২ সপ্তাহের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর নিহতদের পরিবার কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রায় ৪ বছর ধরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই তাঁর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়েছিলেন বলে সঙ্গীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান মহিলা। তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু দুপক্ষই আদালতকে জানান তাঁদের সম্পর্কের কথা এবং বিষয়টির নিস্পত্তি হয়ে গিয়েছে বলে মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানান। এরপরেই দু’জনকে ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের এক নিম্ন আদালতে। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে পেশ করেন অভিযোগকারিণীর সঙ্গে তাঁর সহবাসের চুক্তিপত্র।