লন্ডন : যখন আদালতে ঢুকছিলেন, ক্লান্ত-বিধ্বস্ত শরীরেও মুখের কোণে একটা বিষণ্ণতার হাসি ছিল। কিন্তু আড়াই বছর জেলের সাজা শোনার পর চোখে জল নিয়ে বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরেন বরিস বেকার (Boris Becker)। তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নকে সেই মুহূর্তে ভীষণ আবেগ-বিহ্বল দেখিয়েছে। সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে প্রথম দিন থেকে বেকারের সঙ্গী ছিলেন বান্ধবী লিলিয়ান ডি কার্ভালহো মন্তেইরো। পনেরো মাসের সাজা শুনে ভেঙে পড়েছিলেন চল্লিশের কোঠায় থাকা পলিটিকাল রিস্ক অ্যানালিস্ট লিলিয়ান।
বিচারপতি ডেবরা টেলর সাজা ঘোষণা করে বেকারের (Boris Becker) উদ্দেশে বলেন, ‘‘সমস্ত সম্পত্তির কথা ঘোষণা করার দায় ছিল আপনার উপর। কিন্তু আপনি সেটা করেননি। আপনি নিজের কেরিয়ার, সম্পত্তি ও ইমেজ ধ্বংস করেছেন। কিন্তু আপনার মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখিনি।” একটি ব্যাগে করে জেলের জন্য জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন টেনিস তারকা। আদালতে একবারই তাঁকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল। যখন তিনি নিজের নাম বলেন। তাঁর আইনজীবী জোনাথন লাইডল আদালতে জানিয়েছেন, বেকারের কাছে এখন কিছুই নেই। তাঁর বর্ণময় টেনিস কেরিয়ারের আর কোনও কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাঁর কথায়, ‘‘এটা ট্র্যাজেডি বললেও কম বলা হয়। তিনি শুধু উঁচু থেকে নিচে পড়েননি, জনসমক্ষে অপমানিতও হয়েছেন। যেভাবে গোটা ঘটনা এগিয়েছে তাতে এই লোকের সামনে আর কোনও রোজগারের রাস্তা নেই। সম্মান গিয়েছে। এখন তাঁকে চ্যারিটির উপর ভরসা করতে হবে।” এর আগে বেকার জার্মানিতে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে তাঁকে তখন জেলে যেতে হয়নি সাসপেন্ডেড সেন্টেন্স হওয়ায়।
আরও পড়ুন:বিতর্কিত হারে বিদায় সিন্ধুর
এই ঘটনাতেও যেভাবে তিনি অর্থ অন্যত্র সরিয়েছেন, তাতে বেকারের মধ্যে অসততাই দেখেছে আদালত। ছ’টি গ্র্যান্ডস্লাম জেতা বেকার দু’বছর ধরে লিলিয়ানের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন। আফ্রিকা-জাত লিলিয়ানের বাবা ছিলেন একজন রাজনীতিক। লন্ডনে পড়াশুনো করতে এসে তিনি মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। জার্মান-সহ পাঁচটি ভাষাও জানেন লিলিয়ান।