প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বরিস জনসনের (Boris Johnson) একটি মোমের মূর্তি তৈরি করে যা রাখা ছিল মাদাম তুসোর মিউজিয়ামে। প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর সঙ্গে সঙ্গে মিউজিয়ামেও জায়গা হারিয়েছে বরিসের মূর্তি। মিউজিয়াম থেকে ওই মূর্তি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে লন্ডনের একটি কর্মসংস্থান দফতরের সামনে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই হাসির রোল উঠেছে নেট নাগরিকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: দ্বীপরাষ্ট্রে অরাজকতার চূড়ান্ত
এরই মধ্যে ব্রিটেনে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে তা নিয়ে আলোচনা জোরদার। সমীক্ষায় এগিয়ে থাকলেও দেশের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা খারিজ করেছেন। শনিবার বেন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, কোনওভাবেই কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন না। ওয়ালেস সরে দাঁড়ানোয় অনেকেই মনে করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলেন। কিন্তু সুনকের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠেছে তাঁর স্ত্রী অক্ষতার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের খবর, সেপ্টেম্বরের আগে কনজারভেটিভ পার্টি নতুন দলনেতার নাম ঘোষণা করবে না। অর্থাৎ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের কাজটাও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এদিকে সাংবাদিকদের নিজের হাতে চা পরিবেশন করতে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন ঋষির স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। ঋষি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাংবাদিকরা তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের নিজের হাতে চা পরিবেশন করেন অক্ষতা। আর তাতেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। অক্ষতা যে কাপে করে সাংবাদিকদের চা দেন তার এক-একটির দাম ৩৮ পাউন্ড। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩৬০০ টাকা। আগে সাংবাদিকদের এ ধরনের দামি কাপে চা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন। নেটিজেনরা অনেকেই কটাক্ষ করেছেন, অক্ষতা কেন বরিসকে (Boris Johnson) এভাবে অনুসরণ করছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, একটি কাপের যা দাম তাতে একটি পরিবারের দু’দিনের অন্নসংস্থান হয়ে যেত। উল্লেখ্য, ঋষির স্ত্রী অক্ষতার সম্পত্তি নিয়ে এর আগেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট হইচই হয়েছিল।