ক্ষীরপাইয়ের বড়মার নিত্যপুজোর পুরোহিত শুধুমাত্র ভক্তেরাই

Must read

মৌসুমী হাইত, পশ্চিম মেদিনীপুর: ‘বড়মা’র পুজোয় (kali puja) লাগে না পুরোহিত। মানুষই এখানে পুরোহিত। বড়মা নামেই নয়, দেখতেও বড়। কংক্রিটের প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার মা তাই ভক্তদের কাছে ক্ষীরপাইয়ের বড়মা নামেই পরিচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাইয়ের ১ নং ওয়ার্ড চিরকুনডাঙায় রয়েছে এই বিশালাকার কালী। জেলা ছাড়িয়ে ভিনজেলা, এমনকি ভিনরাজ্যের মানুষও এই মাকে বড়মা নামেই জানে। পুজোর অপেক্ষায় থাকেন অগণিত মানুষ। শশ্মানকালী হলেও এই পুজোয় বলি হয় না। পুজোর পরের দিন হাজার হাজার মানুষ আসেন খিচুড়ি প্রসাদ নিতে। মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন শুদ্ধদেব রায়। প্রথমে মাটির চালায় পুজোর শুরু। ডাকা হত ছোট মা নামে। একবার বন্যায় ছোট মায়ের মাটির চালা ডুবে মূর্তি ভেঙে যায়। যদিও মায়ের একটি ভাঙা হাত থেকে গিয়েছিল যা এবারের বন্যায় তলিয়ে যায়। বন্যা মিটতেই ছোট মায়ের মন্দিরের পাশেই ৪৫ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের বড়মার মুর্তি তৈরি হয়। অমাবস্যা তিথি ও কালীপূজোর সময় ছাড়া বড়মার মন্দিরে থাকেন না কোনও পূজারি। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মায়ের দর্শনে এসে নিজেরাই নিজের মতো করে মায়ের পুজো দেন। ভক্তদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের পূজার্চনার কাজ। দক্ষিণা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ আছে। প্রণামীর বাক্সও নেই। কোনও আর্থিক সাহায্য নেওয়া হয় না বলে লিখে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামনেই কালীপুজো (kali puja)। ক্ষীরপাইয়ের বড়মায়ের পুজোয় জাঁকজমক না থাকলেও ভক্তদের আরাধনায় গমগম করে।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন গৌতমরা

Latest article