প্রতিবেদন : নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে অত্যুৎসাহী রাজ্যপাল আদালতের শুনানির ভুল খবর ট্যুইট করে পরে তা মুছে দিয়ে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করলেন। বুধবার হাইকোর্টে রাজ্যপালের দায়ের করা একটি মামলা গৃহীত হয়। ১৫ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। অত্যুৎসাহী রাজভবন থেকে ট্যুইট করে লেখা হয়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্যের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কোর্ট। যদিও কোর্ট এদিন কোনও মন্তব্যই করেনি। রাজ্যপালের করা মামলাটি মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও যুক্ত করা হয় সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার ও প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু। কুণাল ঘোষের আইনজীবী ছিলেন অয়ন চক্রবর্তী। রাজ্যপালের আইনজীবী অন্তর্বর্তী নির্দেশের আবেদন করেন। প্রত্যুত্তরে বিচারপতি জানান, ১৫ জুলাই সকাল ১০টায় পরবর্তী শুনানি। তার আগে সব পক্ষকে নথি দিতে হবে। আদালতে এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ১২টা ৫৯মিনিটে রাজভবন একটি ট্যুইট করে। শুনানি সংক্রান্ত নানা প্রশ্নোত্তর সেখানে ছিল। যদিও এদিন কোনও শুনানির ঘটনাই ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার মুখেই পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয় রাজভবন থেকে। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ট্যুইটে লেখা হয় আদালত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কোনও মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে কিনা। ওই ট্যুইটেই জবাবে বলা হয়, হাইকোর্ট মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না। ১৫ জুলাই শুনানির আগে মন্তব্যে নিষেধাজ্ঞার কথাও লেখা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, কীসের ভিত্তিতে রাজ্যপাল এই ট্যুইটটি করেছিলেন এবং কোন কারণে মুছেও দিলেন? রাজভবন থেকে এ-নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি। অভিযোগ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে রাজভবন মরিয়া চেষ্টা চালাতে গিয়েই আদালত অবমাননার কাজ করেছে।