মিষ্টি হাতে বিজেপি কর্মীদের কাছে বোস! কটাক্ষ তৃণমূলের

প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের পর বিজেপির হামলা শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যে জেলায় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপির ক্যাডার হিসেবে কাজ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের আড়ালে বসে রাজ্যপালের মুখোশ পড়ে আদতে বিজেপির হয়েই কাজ করছেন তিনি। শুক্রবার আবারও প্রমাণ হয়ে গেল রাজ্যপালের এই একচোখামি। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসা বিজেপি কর্মীরা আইনি কারণেই রাজভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। পাল্টা তাদের সঙ্গে মিষ্টি হাতে দেখা করতে গিয়ে রাজ্যপাল আসলে বিজেপির এজেন্টের তকমাকেই পোক্ত করেছেন। সমালোচনা সর্বত্র। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যপাল নিজের দলের কর্মীদের কাছে গিয়েছেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির ব্যাজ বুকে নিয়ে ঘোরেন। ওঁর পার্টির প্ল্যান ফেল করেছে, নাটক ফ্লপ হয়েছে। ফলে রাজ্যপাল নিজের মুখোশ খুলে তাঁর দলের কর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছেন।

আরও পড়ুন-খুচরো বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ১৫ মাসে সর্বোচ্চ

প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের পর বিজেপির হামলা শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যে জেলায় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। শুক্রবার খেজুরিতে এমনই আহত তৃণমূলকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে দল। আওয়াজ উঠেছে দোষীদের শাস্তি চাই। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে রাজ্যপাল যখন মিষ্টি হাতে তাদের কাছে চলে যান তখন প্রশ্ন ওঠে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে। কেন তৃণমূলকর্মীদের পরিবার কিংবা আহতদের পাশে তাঁকে দেখা গেল না? কেন বিজেপি কর্মীদের জন্য তিনি ব্যতিব্যস্ত? প্রমাণ হয়, রাজ্যপাল আসলে বিজেপির এজেন্ডাকেই সফল করতে নেমেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজভবনে না ঢুকতে পেরে শুক্রবার হাইকোর্টে গিয়েছিল গদ্দার অধিকারী। সেখানে রাজ্যের দেওয়া শর্তের সাপেক্ষেই গদ্দারকে রাজভবনে ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতে রাজ্য সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেন স্পষ্ট ভাষায় জানান, গদ্দার অধিকারী এর আগেও একাধিকবার রাজভবনে গিয়েছেন। তার রাজভবনে যাওয়া নিয়ে রাজ্যের কোনও অসুবিধা কখনই ছিল না। কিন্তু যে শতাধিক বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তিনি রাজভবনে ঢুকতে চাইছেন, সেটা কী করে সম্ভব? রাজভবন রাজ্যের একটি শীর্ষ সাংবিধানিক ক্ষেত্র, সেখানে চাইলেই শতাধিক লোককে নিয়ে ঢোকা যায় না। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে কতজন তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন, তাদের পরিচয় জানাতে হবে এবং গাড়ি নিয়ে গেলে কটি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে যাবে তা জানাতে হবে পুলিশকে। কারণ, এই আবহে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশকেই তা সামাল দিতে হবে। তখন কোনও গদ্দার আর তার দলবল আসবে না। আসলে নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর বিজেপির দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। ঘরে-বাইরে সমালোচিত গদ্দার। এই অবস্থায় পরিস্থিতির মোড় ঘোরাতে গদ্দারের নতুন নাটকও ফের ফ্লপ হয়েছে।

Latest article