কেন্দ্রের সরকার গঠন করলেও আদতে যে বিজেপি ও এনডিএ জোট বিরোধীদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে তার প্রমাণ মিলল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই। বিরোধীরা একাধিক ইস্যু, বিশেষত আদানি ইস্যুতে সরব হতে সংসদের (Parliament) দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হল। এমনকি মঙ্গলবারও কোনও অধিবেশন হবে না। ফের বুধবার বেলা ১১টায় বসবে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। এবারের অধিবেশনে আদানি ইস্যু সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। দেশের স্বার্থে দাবি জানানোর শুরুতেই অধিবেশনই বাতিল করে দিল কেন্দ্রের স্বৈরাচারি পরিচালক।
শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই অধিবেশন মুলতুবির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদের (Parliament) বাইরে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছিলেন সংসদে নতুন সাংসদদের বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন কিছু সাংসদ। তাঁদের উদ্দেশ্য সংসদ যেন মুলতুবি হয়ে যায়। রবিবার সর্বদল বৈঠকে বিরোধী সাংসদরা শীতকালীন অধিবেশনে আদানি ইস্যু কেন্দ্রের সরকারের জবাব চাওয়ার উল্লেখ করেছিলেন। তারপরই এই অধিবেশন চললে যে মোদির সঙ্গে আদানির ঘনিষ্ঠতা ও তার জন্য দেশের স্বার্থের ক্ষতির গোটা কাহিনী ফাঁস হয়ে যাবে, তা আন্দাজ করেই হয়তে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে অধিবেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়ে গিয়েছিলেন মোদি।
আরও পড়ুন: হেমন্তের শপথে ঝাড়খণ্ড যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
লোকসভার অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ওম বিড়লা শোকপ্রস্তাব পেশের পরেই আদানি ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি জানান বিরোধী সাংসদরা। দেশের অর্থ নিয়ে সেবি প্রধান মাধবী পুরি বাচের সঙ্গে আদানির লেনদেন নিয়ে জবাব দাবি করা হয়। প্রাথমিকভাবে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয় লোকসভা। পরে সোমবার, মঙ্গলবার দুই গুরুত্বপূর্ণ দিনের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করা হয় লোকসভা।
অন্যদিকে, রাজ্যসভাতেও একইভাবে আদানি ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে ওয়াকফ ইস্যু নিয়েও আলোচনার দাবি জানান বিরোধীরা। কিন্তু চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় প্রখমে বেলা ১১.৪৫ পর্যন্ত ও পরে মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করে দেন অধিবেশন।