প্রতিবেদন : সন্ধেয় খেলাধুলো করার পর শুক্রবার আর বাড়ি ফেরেনি ছোট্ট স্বর্ণাভ বিশ্বাস। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। উদ্বিগ্ন বাড়ির লোক সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পায়নি। থানায় ডায়েরি করা হয়। সকালেও আবার খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে মেলে এক প্রতিবেশীর পুকুরে পলিথিনে মোড়া অবস্থায়। ঘটনার খবর পেয়েই নদিয়ার (nodia) তেহট্টের নিশ্চিন্তপুর উত্তাল হয়ে পড়ে। অভিযোগ, পড়শি উৎপল মণ্ডল তাকে অপহরণ করেছিল। পরে ধরা পড়ার ভয়ে মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। এর পরই উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় উৎপল এবং সোমা বিশ্বাসের। শুধু তাই নয়, তাদের বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র্যা ফ নামে। অভিযোগ, শিশুপাচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল উৎপল। স্বর্ণাভকেও সম্ভবত পাচার করতে চেয়েছিল, না পেরে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। কারও কারও দাবি, উৎপলের সঙ্গে পুরনো বিবাদ ছিল নিহত বালকের পরিবারের। যদিও সে-দাবি খারিজ করে দিয়েছেন নিহতের বাবা। বলেন, আমার সঙ্গে ওর কোনও গোলমাল ছিল না। তাই ওকে সন্দেহও করিনি। পরে ওর বাড়ির কাছ থেকে ছেলের দেহ পেলাম। শুনলাম ওর স্ত্রী নাকি বলেছে, আমরাই মেরেছি। এসিপি উত্তম ঘোষ জানান, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শিগগিরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন- বাংলার অপমানের বিরুদ্ধে বারাকপুরে তৃণমূলের প্রতিবাদ