প্রতিবেদন : আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ একের পর এক শিল্পী রাজ্যের দেওয়া সম্মান ফিরিয়ে দিতে থাকে। কিন্তু জাতীয় স্তরে যদি আরজি করের মতো কোনও ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে শিল্পীরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পুরস্কার ফেরাবেন তো? এবার এই প্রশ্নই তুলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে নাট্যকর্মী থেকে বিভিন্ন মহল প্রতিবাদে নেমেছে। সেখানেই বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের এক মন্তব্যের প্রতিবাদে একে একে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন শিল্পীরা। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষেত্রে এরকম হলে তাদের দেওয়া পুরস্কার কি ফেরাবেন তারা?
আরও পড়ুন- ফের চালু হচ্ছে এনবিএসটিসির ট্যাক্সিবাস পরিষেবা
এই পুরস্কার ফেরানোর হিড়িক নিয়ে নাট্যকার-শিল্পীদের কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, প্রত্যাখ্যান তো করতেই পারেন! থিয়েটারের যিনি করেছেন, স্বাগত জানাই তাঁর সিদ্ধান্তকে। আমাদের নাট্য অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি যে, তিনি বামফ্রন্টের হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার তাঁর ক্ষেত্রে বাছবিচার করেনি। রাজনৈতিক পরিচয়ের নিরিখে তাঁর শৈল্পিক কৃতিত্ব বিচার করেনি। তিনি নিশ্চয়ই ছাড়তে পারেন, গণতান্ত্রিক অধিকার আছে তাঁর।
সুদীপ্তা চক্রবর্তী, নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, সনাতন দিন্দা, অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত, সংগীত পরিচালক শুভদীপ গুহ- সহ বিদ্যাসাগর পুরস্কার ফেরাচ্ছেন প্রাবন্ধিক কৃত্যপ্রিয় ঘোষ। গণতান্ত্রিক অধিকারে যে কেউ পুরস্কার ফেরত দিতেই পারেন। সেই স্বাধিকার রয়েছে সকলের। তাঁদের উদ্দেশে কোনও তির্যক, নিন্দাসূচক মন্তব্য করেননি শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu)। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, তাঁরা তাঁদের কাজ করেছেন। আশা রাখি, কেন্দ্রীয় স্তরে যদি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে এবং তাঁদের কাছে যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পুরস্কার থেকে থাকে, সেগুলিও ফেরত দেবেন তাঁরা।