প্রতিবেদন: দমদম সঙ্গীত মেলায় গিয়ে এবার বিরোধীদের খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সঙ্গীত মেলার আয়োজন নিয়ে বিরোধীরা অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছে। তার পাল্টা জবাব দিয়ে ব্রাত্য বসু সাফ জানান, বিরোধীদের যদি মনে হয় সঙ্গীত মেলা নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে, তাহলে বলব এসব অপপ্রচার। পারলে একটা সঙ্গীত মেলা করে দেখাক, তাহলে বুঝব।
বুধবার চতুর্থ দমদম সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ সৌগত রায় ও বিধায়ক তাপস রায়। রবিবার পর্যন্ত দমদমের সেন্ট মরিস স্কুল গ্রাউন্ডে এই অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি গানের একজন উদ্যোক্তা মাত্র। আর সেকারণেই আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গানের বিষয়ে সবটা বলতে পারব না। আমরা মনে করি, সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষকে একত্র করার পুজো যেমন একটা সংস্কৃতি, ঠিক তেমনই এই অনুষ্ঠানও সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ। একইসঙ্গে তিনি জানান, আমরা কোনও ভাষার বিরোধী নই, কিন্তু আমাদের মাতৃভাষাকে আমরা ভালোবাসি। মাতৃভাষাই আমাদের পরিচয়। ২০১৮ সালে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্যোগে শুরু হয় এই সঙ্গীত মেলা। তবে এদিন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) সাফ জানিয়েছেন, বাংলা গানের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। আমরা সঙ্গীত মেলার মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে গান পৌঁছে দিতে চাই।
আরও পড়ুন- রুশ সেনায় যোগ দেওয়া শতাধিক নেপালি নিখোঁজ! পুতিনের হস্তক্ষেপ চায় নেপাল
এদিকে দমদমের এই সঙ্গীত মেলায় শুধুই গান নয়, গানের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে অনেক ধরনের স্টল রয়েছে। তবে যদি কেউ যদি তাঁর সন্তানকে গান শেখাতে চান সেক্ষেত্রে গানের স্কুলের স্টলও রাখা হয়েছে। এছাড়া বাদ্যযন্ত্র ও খাবারের স্টল তো আছেই। এছাড়াও চলতি বছরের অনুষ্ঠানে রয়েছে একাধিক চমক। অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন বাংলার প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তেমনই বাংলার প্রবীণ ও মুম্বইয়ের বিশিষ্ট শিল্পীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সৌরেন্দ্র- সৌম্যজিৎ, সোমলতা আচার্য, ফসিলস, কার্ত্তিক দাস বাউল, জলি মুখোপাধ্যায়, শিলাজিৎ, ইমন, জলের গান ব্যান্ড সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।