প্রতিবেদন: রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান বা ‘রুশা’ খাতে কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্যের গাফিলতিতে নাকি এই টাকা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁর এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। হাফ মন্ত্রীর অভিযোগ যে কতটা অযৌক্তিক তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিন বিশ্ব বাংলা কনভেনশনে ভাষা মেলার উদ্বোধনে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সেখানেই তিনি সাফ জানান, এ ধরনের কোনও চিঠি আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি। কোনও জটিলতা থাকলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। এই প্রকল্পের নাম এখন ‘রুশা’ নয়, ‘পিএমরুশা’ হয়ে গিয়েছে। এটি রাজ্যের ছেলেমেয়েদের টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা থাকলে এই টাকা আটকে রাখতেন না।
প্রসঙ্গত, ভাষা মেলার উদ্বোধনে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন, সুবোধ সরকার, প্রচেত গুপ্ত, অধ্যাপক রণবীর সমাদ্দার সহ বিশিষ্ট জনেরা।
আরও পড়ুন-পরীক্ষাকেন্দ্রে ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেবে পরীক্ষার্থীরাই
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১৪৫ টি প্রকল্পের জন্য রাজ্যের পাওনা ৯০০ কোটি টাকা হলেও রাজ্য পেয়েছে মাত্র ৩৮৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। যার ফলে একাধিক খাতে আটকে রয়েছে উন্নয়ন। এদিকে ‘রুশা’ প্রকল্পের টাকা দিয়ে ফেলোশিপ বা স্কলারশিপের ভাতা মেটানো হয়। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার কাজে এই টাকা ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের উন্নয়নের কাজ করা যায়। কিন্তু এই টাকা বন্ধ থাকার ফলে সব দিক থেকেই অগ্রগতি স্তিমিত হচ্ছে। রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে যথাসম্ভব ভর্তুকি দিয়ে সেই ওহাব পূরণের চেষ্টা করছে।

