বিরোধীদের ধুইয়ে দিলেন ব্রাত্য, ফের চূড়ান্ত অসভ্যতা, সাসপেন্ড গদ্দার

সোমবার সকালেই দলবদলু গদ্দার অধিকারীর সাসপেনশন তুলে নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দুপুরের পরই বদলে গেল ছবিটা

Must read

প্রতিবেদন : সোমবার সকালেই দলবদলু গদ্দার অধিকারীর সাসপেনশন তুলে নিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দুপুরের পরই বদলে গেল ছবিটা। অধিবেশন কক্ষের ভিতরে কুৎসিত আচরণ এবং বারবার বারণ করা সত্ত্বেও অধ্যক্ষের কথা না শুনে চূড়ান্ত অসভ্যতা ফের চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল বিরোধী দলনেতাকে। এই বিষয়ে তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, নাটক করে প্রচারে থাকতে গদ্দার এসব করছে। আসলে ওর হাতে এখন আর কোনও ইস্যুই নেই।

আরও পড়ুন-চাঁদার জুলুম, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা

মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সে-সময় অধিবেশনে তাঁর বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেনাবাহিনীর আচরণ নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। যেভাবে সেনা গিয়ে তৃণমূলের ধরনামঞ্চ খুলে দিয়েছে তার প্রতিবাদ করছিলেন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। ব্রাত্য বলেন, আমার ১৯৭১ সালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সে-সময় পাকিস্তানের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে নির্বিশেষে নিজের রাষ্ট্রের নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল। সে-কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তাঁর। এরপরই তুমুল হইহট্টগোল শুরু করে দেয় বিরোধীরা। যদিও মন্ত্রী তাঁর বক্তব্য চালিয়ে যান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, আমি পাকিস্তানি সেনার সমালোচনা করে থাকলে তাদের অপমান করে থাকলে বেশ করেছি। আবার করব। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে তারা যেভাবে নির্বিচারে গণহত্যা করেছে তা ইতিহাসে লেখা আছে ইতিহাস কখনও বদলানো যায় না। ওই দিনটির পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে এ-কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। বিরোধীরা বিধানসভায় যা করলেন তা ঠিক নয়। তবে শেষে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ।

Latest article