প্রতিবেদন : ডুরান্ড ফাইনালে বড় ব্যবধানে হার থেকে শিক্ষা নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ডায়মন্ড হারবার এফসি। স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নয়, বরং ডুরান্ড অভিষেকেই ফাইনাল খেলতে পারার সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার (DHFC) শিবির।
আই লিগের জন্য দলগঠনের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এখনও বেশ কয়েকটি পজিশনে ভারতীয় ফুটবলার রিক্রুট বাকি রয়েছে। তার মধ্যে নতুন দু’জন উইং ব্যাক নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে, ভিসা নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে সোমবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছে গেলেন ডায়মন্ড হারবারের (DHFC) দুই নতুন বিদেশি ব্রাইট এনোবাখারে এবং সানডে আফোলাবি। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ব্রাইট ভারতীয় সমর্থকদের কাছে পরিচিত নাম। ২০২১ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আইএসএলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন। গোয়ার বিরুদ্ধে পাঁচজনকে কাটিয়ে ব্রাইটের বিস্ময়-গোল এখনও চোখে ভাসে লাল-হলুদ জনতার। ব্রাইটের মতো সানডেও নাইজেরিয়ান। তবে তিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। নিঃসন্দেহে মাঝমাঠে খেলা তৈরির লোক পাবেন কিবু।
ডুরান্ডে পূর্ণশক্তির দল পেলে ফাইনালের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করেন ডায়মন্ড হারবারের কোচ। চোটের কারণে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভেইরাকে নকআউটে পাওয়া যায়নি। ক্লাবের সহসভাপতি আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমরা প্রথমবার ডুরান্ডের মতো সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় খেললাম। অভিষেকেই ফাইনাল খেলেছি। এটা ক্লাবের জন্য বিরাট সাফল্য। তাছাড়া দলগঠনই সম্পূর্ণ হয়নি। একজন ভাল গোলকিপার নেওয়ার কথা ভাবছি। দুটো উইং ব্যাক নিতে পারি। আরও দুটো পজিশনে ফুটবলার নিতে পারি। পাঁচ বিদেশি নিয়েছি। আই লিগের আগে আরও একজন বিদেশি নেব। এদিকে, মঙ্গলবার কলকাতা লিগে নামছে ডায়মন্ড হারবার। বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটির মাঠে প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব।
আরও পড়ুন-ভারতকে হারানোর হুমকি রউফের মুখে