প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বকেয়া ৯০ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দিলে বিরোধীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। রাজ্য বাজেট আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে এভাবেই বিরোধীদের যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে জিএসটি ক্ষতিপূরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের পাওনা মেটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যেকে বঞ্চিত করছে। করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে জিএসটি বাদে সমস্ত রাজস্ব আদায় মার খেয়েছে গোটা দেশেই। অথচ জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও নীরব কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল নিয়েও বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় পুরপ্রধান ঘোষণা
একই সঙ্গে সমালোচনা করেছেন প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ কমানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, কেন্দ্রের কাছে “কৃষি মানে কৃষক মারো, শিল্প মানে ধনকুবেরের পকেট ভরো।” এদিন বিধানসভায় বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বেঁধেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় বেশি বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার যদি পেট্রোল-ডিজেলের উপরে ১০ টাকা করে সেস কমায়, তাহলে আমরা সমর্থন জানাব।’’ বাজেট বিতর্কের জবাবি ভাষণ দিতে উঠে অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জিএসটি-সহ সমস্তটা মিলিয়ে কেন্দ্রের থেকে এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকা পাবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-ময়দানে পা রাখছে অভিষেকের ক্লাব
কেন্দ্রীয় সরকার সেই টাকা আটকে রেখেছে। এই টাকা দিলে যা যা বললেন, দাবি করলেন, সব করে দেব।’’ বিরোধী দলের বিধায়করা বাজেটে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বিধায়করা বলছেন উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের দফতরের বরাদ্দ হয়েছে ৭৯৭.৪২ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ হচ্ছে। ৫১৮.২৯ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে মালদা, কোচবিহারে। কোচবিহার, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের অনেক কাজ হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জন্য ক্যান্সার হাব তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দফতর থেকে টাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের জন্য বরাদ্দ বাজেটের এক টাকাও নেওয়া হচ্ছে না।’’