প্রতিবেদন : শনিবারের পর রবিবারও পছন্দের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন বেশ কিছু পে-চ্যানেলের গ্রাহকরা। ট্রাইয়ের (TRAI) নির্দেশের প্রেক্ষিতে নতুন মাশুল চুক্তি মানতে বেশিরভাগ এমএসও রাজি না হওয়ায় স্টার, জি, সোনির মতো বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে তাদের। ফলে শনিবারই কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায় বিভিন্ন জনপ্রিয় চ্যানেল। অচলাবস্থা অবসানের জন্য এখন আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় কেবল অপারেটররা (Cable Operators)। কেবল সংযোগের খরচ বৃদ্ধিতে আপত্তি জানিয়ে এমএসওদের একাংশ দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের। মামলার শুনানি হতে পারে সোমবারই। খরচ বৃদ্ধিতে আপত্তি জানিয়ে ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে কেরল হাইকোর্টে। ২০ তারিখ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপারেটরদের (Cable Operators) প্রশ্ন, এরপরেও ব্রডকাস্ট বন্ধ রাখা হয় কোন যুক্তিতে? লক্ষণীয়, ট্রাইয়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১ মার্চ থেকেই কেবল টিভি সংযোগ খরচ বাড়তে চলেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত গ্রাহকদের। সংযোগ বাবদ খরচ বাড়লে ব্যবসায় প্রবল মন্দার আশঙ্কা করছেন এম এসও এবং কেবল অপারেটরদের একটা বড় অংশও। টিভিতে স্ক্রোল চালিয়ে দর্শকদের কাছে পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষার জন্যই যে বর্ধিত মূল্য তারা বাস্তবায়িত করতে চাইছে না তা জানানো হচ্ছে। কলকাতার একটি বৃহৎ মাল্টি সিস্টেম অপারেটর অবশ্য সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করে স্বাক্ষর করেছে নয়া চুক্তিতে।
আরও পড়ুন:সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে, ষড়যন্ত্র ফাঁস অভিষেকের