ভাঙল বাঁধ ডুবল নৌকা

আগামী কাল পর্যন্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় শঙ্কিত। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

Must read

সুস্মিতা মণ্ডল, কাকদ্বীপ : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কাকদ্বীপ মহকুমায়। নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কোটালের জোড়া ফলায় জলোচ্ছ্বাসের জেরে বাঁধ ভেঙে বা উপচে জল ঢুকল লোকালয়ে। ডুবল পণ্যবাহী নৌকা। রাতের জোয়ারে আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ। সেচ দফতরকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। নামখানার মৌসুনির বালিয়াড়াতে একশো মিটার নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।

আরও পড়ুন-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবাসরীয় প্রচার

চিনাই নদীর জল ঢুকে ভাসিয়ে দিয়েছে পুকুর, চাষের জমি ও নতুন গড়ে ওঠা হোম স্টে কটেজগুলি। নামখানার নারায়ণগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর এলাকাতেও বেহাল বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে। জল ঢুকেছে সাগরের মহিষমারিতেও। গোসাবার কুমিরমারিতেও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল ঢোকায় ধান, পুকুরের মাছ সবজি নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার সকালে জোয়ারের সময় সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে নোঙর করা একটি পণ্যবাহী নৌকা মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যায়। তবে নৌকায় কোনও মানুষ ছিলেন না।

আরও পড়ুন-Nagaland Firing: নাগাল্যান্ডের ঘটনায় শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোমবার পৌঁছবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

অমাবস্যার কোটাল থাকায় থেকে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বকখালি, গঙ্গাসাগরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। বেহাল বাঁধ টপকে আবারও জল ঢুকতে পারে সাগরের ঘোড়ামারা, ধবলাটে। শনিবার রাতে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটে জলোচ্ছ্বাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নির্মীয়মাণ বাঁধ। বালি ও মাটি ধুয়ে সমুদ্রে মিশে গিয়েছে। ব্লকস্তর থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মোতায়েন আছে চার কোম্পানি এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দল। আকাশ মেঘলা।

আরও পড়ুন-ডাবল হ্যাটট্রিকের পথে সাংসদ মালা

সঙ্গে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে জেলাতে। উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নেমেছে। উপকূলে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। দুর্যোগের জন্য সুন্দরবনের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে। কাকদ্বীপ মহকুমার ওপর বেশি নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে তুলে আনা হয়েছে। দেড়শোর বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। রান্নাকরা খাবার দেওয়া হচ্ছে।

বাঁধ এলাকার মানুষদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। আগামী কাল পর্যন্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় শঙ্কিত। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বকখালি তট পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, বেহাল বাঁধগুলি দ্রুত মেরামতি করার জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। ব্লকের চার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা হয়েছে।

Latest article