উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) বাগপতের গাঙ্গলোনি গ্রামের মসজিদে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য। মৌলবি ইব্রাহিমের অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে গোটা ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্র। সূত্রের খবর, মৌলবি আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাক্কিকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন। আর মৌলবি না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতীরা মসজিদে আবাসনে ঢুকে খুন করেছে মুজফফরনগরের বাসিন্দা মৌলবি ইব্রাহিমের স্ত্রী ইসরানা এবং তাঁদের দুই শিশুকন্যা সোফিয়া (৫) ও সুমইয়্যা (২)-কে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে একাদশ শ্রেণির দলিত পড়ুয়াকে নৃশংস গণধর্ষণ
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে এসে বারবার ডেকে মৌলবির সাড়া না পাওয়ায় কয়েকজন ওপরে মৌলবির আবাসস্থলে যান। এরপরেই সেখানে মৌলবির স্ত্রী ইসরানা ও দুই শিশুর নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে মিরাটের ডিআইজি স্বয়ং ঘটনাস্থলে আসেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ফরেনসিক টিম ও ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশের তৎপরতায় দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার ‘গণধর্ষণে’ গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। মৌলবি ইব্রাহিমের আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর অভ্যর্থনা জানাতে যাওয়ার এই সুযোগ দুষ্কৃতীরা কাজে লাগিয়েছে। জানা গিয়েছে হত্যাকাণ্ডের আগে মসজিদের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপরাধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ বলেই মনে করা হচ্ছে। মসজিদের গতিবিধি এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সম্যক ধারণা দুষ্কৃতীদের ছিল। মৌলবি ইব্রাহিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ তবে অপরাধীর হদিশ পাওয়া যায় নি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে খোদ মৌলবির নিরাপত্তা অনিশ্চিত সেখানে সাধারণ মানুষের সুরক্ষাব্যবস্থা নিঃসন্দেহে সঙ্কটে যোগীর রাজ্যে।