দাদার হাতে রাখি বেঁধেছিল বোন কিন্তু সেই সম্মান দিতে পারল না দাদা। কী ভয়ানক পরিণতি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে সে নিজেও বোঝে নি। নিরাপত্তা চেয়ে রাখি বেঁধে তাঁর হাতেই ধর্ষণের শিকার হতে হল ১৪ বছরের নাবালিকাকে। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে খুন করার অভিযোগও রয়েছে যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) এই নৃশংস ঘটনায় আঁতকে উঠেছে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে এটাই আসল চিত্র
জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাখি পূর্ণিমার দিন অভিযুক্ত সুরজিৎ কাকার বাড়ি যায়। বোনের থেকে রাখিও বাঁধেন। এরপর নিজের কাজে বেরিয়ে গেলেও রাতে মদ্যপ অবস্থায় আবার ওই বাড়ি আসেন। সুযোগ পেয়ে বোনের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং প্রমান লোপাট করতে শ্বাসরোধ করে বোনকে খুন করেন। নিজেকে বাঁচাতে গোটা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই মৃতার গলায় ফাঁস দিয়ে পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন।
আরও পড়ুন-বাংলায় শিল্পায়নের জোয়ার
পাশের ঘরেই নাবালিকার বাবা ঘুমাচ্ছিলেন কিন্তু তিনি কিছুই টের পাননি। পরেরদিন সকালে মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সুরজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু তখনই বয়ানে অসংগতি দেখা দিলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় চাপের মুখে অপরাধ স্বীকার করেন যুবক। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন দেখতে পায়। বিছানায়, মাটিতে রক্তের দাগ দেখেই সন্দেহ হয়। তার থেকেই বোঝা গিয়েছিল এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। মৃতার পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন করা হলে সেই উত্তরও সুরজিৎ দিচ্ছিল। তাই তাঁর ওপর সন্দেহ হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এহেন ঘৃণ্য ঘটনার পর আরো একবার প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যে নারী নিরাপত্তা।