প্রতিবেদন : কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সুকদেবপুরে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করার কাজ চলছিল। কিন্তু সেই কাজে বাধা দেয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। যা সামলাতে ব্যর্থ হয় বিএসএফ। দফায় দফায় চলে উত্তেজনাপর্ব। এই কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের জওয়ানরা কার্যত হুমকি দেয়। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। পরিস্থিতি একটা সময় হাতের বাইরে যেতে থাকে। সীমান্তে জড়ো হন গ্রামবাসীরা। এরপর পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
খবর যায় রাজ্যের শীর্ষমহলে। সেখানকার নির্দেশে গোটা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হয়। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী তারকাঁটাবিহীন উন্মুক্ত স্থানে বেড়া দেবার কাজ চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এলাকায় যেখানে বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছিল তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বলে দাবি করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড। মঙ্গলবার সকালে বিএসএফ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের মধ্যে আরও এক দফা আলোচনা হয়। সীমান্তের যে এলাকায় বেড়া দেওয়া হচ্ছে তা ভারতের অংশ বলে বিজিবিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কাঁটাতার বেড়া তৈরির কাজ শুরু হয়। সীমান্তের যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তা মালদহের কালিয়াচক ৩নং ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাংলাদেশের এলাকাটি পড়ে রাজশাহি জেলার শিবগঞ্জ থানার মধ্যে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-গ্লুকোমা
এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কাঁটাতার বিষয়টি কেন্দ্রের। এতদিন তারা বেড়া না দিয়ে ফেলে রেখেছে। এগুলো দেখার কথা বিএসএফের। ওরা ওদের দায়িত্ব পালন করেনি। দু’একটা জমিতে মামলা থাকলেও বাকি সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অরক্ষিত হয়ে আছে। বরং রাজনৈতিক দাদাগিরি, বিএসএফ গাজোয়ারি করে ১৫ কিলোমিটার থেকে তাদের এলাকা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অথচ মূল সীমান্ত এলাকায় নজরদারির ঢিলেমি রয়েছে। তার ফল যা হওয়ার হচ্ছে। প্রচুর অনুপ্রবেশ ঘটছে। এটা বিএসএফের ব্যর্থতা। কেন্দ্রের ব্যর্থতা।