বহিরাগত হামলাকারীদের ঢুকতে-বেরতে সাহায্য বিএসএফের, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইল তৃণমূল

ওয়াকফ সংশোধনী বিলের পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদে গন্ডগোল পাকানোর ঘটনা যে পুরোটাই বিজেপির সাজানো প্লট তার পর্দাফাঁস করল তৃণমূল

Must read

প্রতিবেদন : ওয়াকফ সংশোধনী বিলের পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদে গন্ডগোল পাকানোর ঘটনা যে পুরোটাই বিজেপির সাজানো প্লট তার পর্দাফাঁস করল তৃণমূল। বিএসএফের সাহায্যে কীভাবে বহিরাগত হামলাকারীদের ঢুকিয়ে গোলমাল পাকানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন-নাইডুর অন্ধ্রপ্রদেশে আতশবাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৮

শুধু তাই নয়, নিজেদের পরিকল্পনাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে এবং বাংলাকে বদনাম করতে তাঁরা ভুয়ো ছবিও ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাকে অশান্ত করার বিজেপির এই গভীর ষড়যন্ত্রের কথা রবিবার সামনে এনে তদন্তের দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষের কাছে তাঁদের আবেদন, বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না, এই অশান্তির ছবি ওরা আপনাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করবে, এটাই ওদের আসল চরিত্র।
রবিবার দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে এই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ্যে আনেন। কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, ওয়াকফ আইনের ক্ষতিকর কোনও দিক এ রাজ্যে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু তারপরও কিছু জায়গা থেকে হিংসার খবর এসেছে। যেখানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে একটা অভিযোগ আসছে যে বিএসএফের একাংশের সহযোগিতায় সীমান্ত থেকে কিছু হামলাকারীকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাকে বদনাম করার জন্য, এটাকে ইস্যু করার জন্য প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এই গন্ডগোল করানো হয়েছে। যে মুখগুলো গন্ডগোল করেছে তাদের মূল পান্ডাদের এলাকার মানুষ চিনতে পারছে না। যারা অশান্তি করেছে নিশ্চয়ই পুলিশ তাদের ধরছে। কিন্তু অভিযোগ আসছে কিছু রাজনৈতিক দলের কোনও অংশ কেন্দ্রের কিছু কিছু এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বা কেন্দ্রের এজেন্সির পরিচালনায় গোপন ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে বিএসএফের একাংশকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতী হামলাবাজ যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের ঢুকিয়ে গন্ডগোল করিয়ে আবার বেরিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এদের যারা উসকাচ্ছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার মানুষদের চিনতে পারছে না। এরাই গন্ডগোল তৈরি করেছে, এরাই আগুন জ্বালিয়েছে। আমাদের আবেদন বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না আপনারা।
দ্বিতীয়ত, বিজেপি মুর্শিদাবাদে গন্ডগোলের ছবি দিয়ে বেশ কিছু মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবিগুলো পোস্ট করেছে— আগুন জ্বলছে, ভাঙচুর, মারামারির যে ছবি পোস্ট করেছে আমরা খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই এই ছবিগুলো মুর্শিদাবাদে ঘটনার নয়। এই ছবিগুলোকে চিহ্নিত করা গেছে। যেটা মুর্শিদাবাদ বলে ছড়াচ্ছে সেটা আদতে লখনউর ছবি। বাংলার বলে পোস্ট করছে। চতুর্থ ছবিটি জলন্ধরে একটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল সেই ছবিটাকে মুর্শিদাবাদে আগুন লেগেছে বলে বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। পঞ্চম ছবিটা ম্যাঙ্গালোরের, সপ্তম ছবিটা কর্নাটকের, আট নম্বর ছবিটা উত্তরপ্রদেশের, নবম ছবিটা অসমের এনআরসি প্রতিবাদের। অন্য রাজ্যের অন্য ঘটনার যে ছবি সেগুলো মুর্শিদাবাদের বলে চালাচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু এলাকায় এই ঘটনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এখানে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় শক্তিকে ব্যবহার করে সীমান্ত ইউজ করে হামলা চালিয়ে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে একটা বড় গন্ডগোল তৈরি করা, ধর্মের ভেদাভেদ তৈরি করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে কিনা আমরা তার তদন্ত দাবি করছি। বাংলায় আগুনের ছবি দেখা গেলে কাদের লাভ তা আবার বলে দিতে হবে নাকি!
এদিনও ডিজি রাজীব কুমার দফায় দফায় বৈঠক করেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে৷ এলাকায় রয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সু্প্রতীম সরকার৷ পুলিশ টানা পেট্রোলিং চালিয়ে যাচ্ছে৷ রাজীব কুমার বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে৷ আতঙ্কিত হবেন না৷

Latest article