প্রতিবেদন : চলতি অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী কতটা অর্থ খরচ করা যাবে, তা নির্ধারণ করে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য অর্থ দফতর। ১ জুলাই থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বেতন, মজুরি, খাদ্য, ওষুধ, হাসপাতালের সামগ্রী, অক্সিজেন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ভাড়া, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ইনসিওর্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারদের ক্যাপিটেশন ফি বাবদ বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড় দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর কাজ পরিদর্শনে স্ট্যান্ডিং কমিটি
রাজ্যের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বরাদ্দ ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সহায়তা পাওয়া প্রকল্প, ১৫তম অর্থ কমিশনের প্রকল্প এবং কেন্দ্রীয় স্পনসর্ড ও সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিমগুলিতে অর্থ ছাড়ের আগে অর্থ দফতরের বাজেট শাখার সম্মতি নিতে হবে। রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ ‘জয় বাংলা’ এবং ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও বরাদ্দের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের অনুমতি মিলবে। তবে মাসভিত্তিক টানাটানির কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট চাহিদার ভিত্তিতে অর্থ তোলা যাবে। রাজ্যের তফসিলি জাতি উন্নয়ন তহবিলের অধীনে থাকা প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করেছে রাজ্য। যেমন প্রকল্প বা স্কিমগুলির প্রশাসনিক অনুমোদন থাকতে হবে, অর্থ ছাড় বাজেট বরাদ্দের মধ্যেই হতে হবে, এবং অনুমোদিত মানদণ্ডের কোনও ব্যত্যয় চলবে না। এই মর্মে অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পি কে মিশ্র স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় সংক্রান্ত আদেশ জারির ক্ষেত্রে স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।