প্রতিবেদন : চিংড়িঘাটা থেকে নিউ টাউন পর্যন্ত নতুন উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু করছে রাজ্য। পুজোর আগেই এজন্য দরপত্র ডাকা হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই উড়ালপুল নির্মাণের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত প্রস্তাবিত উড়ালপুলটি হবে চার লেনের। লম্বায় হবে ৬ কিমি।
আরও পড়ুন-কোল ইন্ডিয়া বেসরকারীকরণের প্রতিবাদে সরব কয়লাখাদান শ্রমিকেরা
চিংড়িঘাটা থেকে শুরু হয়ে এই উড়ালপুল নিকোপার্ক থেকে ডান দিকে ঘুরে মহিষবাথানে গিয়ে নামবে। উড়ালপুল থেকে ২টি র্যাম্প নামবে। একটি র্যাম্প নামবে কলেজ মোড়ের দিকে, অন্যটি নামবে গোদরেজ ওয়াটার সাইডের দিকে। কলেজ মোড়ের দিকে যে র্যাম্প নামবে সেটি দিয়ে উড়ালপুল থেকে নামা যাবে। অপরদিকে গোদরেজ ওয়াটার সাইডের দিকে যে র্যাম্প নামবে তা দিয়ে উড়ালপুলে ওঠা যাবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ— কেএমডিএ এই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ করবে। তবে পরে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পূর্ত দফতরকে।
আরও পড়ুন-ধ্বংসস্তূপের নিচে শুধুই লাশ, মরক্কোয় ভূমিকম্প, হত ১১০০
এই বিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই উড়ালপুল তৈরির পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। তবে এই প্রকল্পের কাজ করবে পূর্ত দফতর। এত দিন যা যা করা হয়েছে, আমরা পুরোটাই পূর্ত দফতরকে বুঝিয়ে দেব। কোন দফতর কাজ করল এটা বড় কথা নয়। যেই করুক আসল বিষয় হল, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার মধ্যেও রাজ্য সরকার এত বড় একটা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌখিকভাবে আলোচনার পরে কেএমডিএ লিখিতভাবে প্রকল্পটি হস্তান্তর করবে। প্রাথমিকভাবে কী কী করণীয় সে-বিষয় কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বানিয়েছে কেএমডিএ। পূর্ত দফতরকে তা যাচাইয়ের জন্য দেওয়াও হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেই ডিপিআর দেওয়া হবে খড়্গপুর-আইআইটিকে। তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তারপর পুজোর আগেই উড়ালপুল তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হবে।