প্রতিবেদন: মধ্যযুগীয় নারী-নির্যাতনের ধারা অব্যাহত যোগীর গেরুয়া রাজ্যে। দলিতদের উপরে নৃশংসতা কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে এবারে তার প্রমাণ মিলল উত্তরপ্রদেশের হরাইয়া এলাকায়। উদ্ধার হল শৌচকর্ম করতে যাওয়া দলিত কিশোরীর ঝলসানো দেহ। খেতে আগুন লাগার খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা খুঁজতে গেলে কিশোরীকে ঝলসানো অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে ঢাক পিটিয়ে বেড়ানো যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে দলিত বা মহিলাদের যে কী পরিস্থিতি তার বাস্তব চেহারা তুলে ধরেছে এই ঘটনা। কিশোরীটির শ্লীলতাহানি করে কি দেহ আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রমাণ লোপের জন্য, নাকি অন্যকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
আরও পড়ুন-অমিত শাহের সভায় শিশুরা, অভিযোগ দায়ের কমিশনে, শৈশবচুরি বিজেপির
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুর জেলার হরাইয়া এলাকার ১৩ বছরের এক কিশোরী শৌচকর্ম করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইরে যায়। প্রায় একঘণ্টা পরেও সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। তখনই গ্রামের কিছু মানুষ জানায় পাশের খেতে আগুন লেগেছে। সেখানে গিয়ে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন প্রিয়জনেরা। দেখা যায় কিশোরীর ঝলসানো দেহ পড়ে রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের দলিত গ্রামগুলিতে এখনও শৌচাগারের অভাবে মহিলাদের বাড়ির বাইরে যেতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে আগুনে ঝলসে গেল ওই কিশোরী, কীভাবেই বা খেতে আগুন লাগলো, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, মোদির ঢাকঢোল পেটানো স্বচ্ছভারত প্রকল্প আদৌ প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছেছে কি?