প্রতিবেদন: বাসের ভাড়া বাড়াতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। তবে জ্বালানির দামে নাজেহাল বেসরকারি পরিবহণ শিল্পকে অক্সিজেন দিতে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারের পাশাপাশি অন্য উপায় খোঁজ করছে সরকার। পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পৌরোহিত্য বুধবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন-Walt Disney: অ্যানিমেশন জগতের রূপকার ওয়াল্ট ডিজনি
এদিন সিএনজি বা কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস চালিত ইঞ্জিন লাগাতে বাস পিছু ভর্তুকি প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানান বাস মালিকরা। তাঁদের সমস্ত আবেদনই বিবেচনা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। বেশির ভাগ বাস মালিকই ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’-এর পক্ষে। কারণ এই পদ্ধতিতে কম খরচে বেশি দূরত্বে বাস চালানো যায়।
আরও পড়ুন-Partha Chatterjee: বিধানসভায় আসুন শিখুন কাজ : পার্থ
বাস মালিকরা আর ডিজেলের ভরসায় বাস চালাতে নারাজ। একেকটি বাসে সিএনজি-র ইঞ্জিন লাগাতে খরচ হবে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। বাস মালিকরা চাইছেন, যেহেতু অতিমারির কারণে তাঁদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে, তাই নতুন সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে ভর্তুকি দিক রাজ্য সরকার। ভাড়া কম রেখে বাস পরিষেবায় ডিজেলের বদলে সিএনজি-র ব্যবহার শুরু করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-Maithon: উড়ু-উড়ু মন? যান মাইথন
সেই সূত্রেই রাজ্যের তরফে পরিবহণ দফতরের মাধ্যমে বাস মালিকদের দু’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমটি ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’ ও দ্বিতীয়টি ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’। ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’-এর ক্ষেত্রে বাস ডিজেল ও সিএনজি উভয় দিয়েই চালানো যাবে। আর ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’ দিয়ে শুধুমাত্রই সিএনজি চালিত বাসই দিয়ে চালানো যাবে বাসে।