পৌষমেলা আয়োজনে ব্যবসায়ী সংঘের দরবার বিশ্বভারতীর কাছে

প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পাঁচ বছরের মেয়াদকালে পৌষমেলা বন্ধ হয়ে যায়। পুরসভা উদ্যোগ নিলেও বিশ্বভারতী মাঠ দেয় না।

Must read

সংবাদদাতা, বোলপুর : চলতি বছরে পৌষ উৎসব ও পৌষমেলা আয়োজন করার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিনয়কুমার সরেনকে চিঠি দিল বোলপুর ব্যবসায়ী সংঘ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্যবসায় সমিতির তরফ থেকে সুনীল সিং ও কবিগুরু হস্তশিল্পী উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে আমিনুল হুদা, এই আবেদনপত্র উপাচার্যের অফিসে জমা করেন। গ্রামীণ হস্তশিল্প নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে হস্তশিল্পীদের মেলবন্ধনের স্বপ্ন নিয়ে পৌষমেলা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই চলতি বছরে বিশ্বভারতীর উদ্যোগে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সহযোগিতায় যাতে পুনরায় পৌষমেলা করা যায় সে ব্যাপারে উপাচার্যের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-তৃণমূল প্রার্থীরা যেখানে যাচ্ছেন বরণ করতে ছুটে আসছেন মানুষ, ফাল্গুনির জনসভায় জনপ্লাবন

প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পাঁচ বছরের মেয়াদকালে পৌষমেলা বন্ধ হয়ে যায়। পুরসভা উদ্যোগ নিলেও বিশ্বভারতী মাঠ দেয় না। ফলে পুরসভা ডাকবাংলার মাঠে বিকল্প মেলা করে। গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য পৌষমেলা করার মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিলেও আয়োজক হিসাবে বিশ্বভারতী অংশ নেয় না। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে গত বছর মেলা হয়েছিল পুরনো মাঠে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর জানিয়েছেন, পৌষমেলার ব্যাপ্তি পৃথিবী জুড়ে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন পর্যটকেরা। মেলা অতীতের মতো এবারেও তার গরিমা নিয়ে হওয়া উচিত। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ না করলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পৌষমেলা হবে। কোনওভাবেই মেলা বন্ধ করা যাবে না। তবে চলতি বছরে ব্যবসায়ীদের আবেদন পাওয়ার পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবার শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সহযোগিতা নিয়ে পৌষমেলায় উদ্যোগী হয় কি না সেটাই দেখার।

Latest article